এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি পালন নিয়ে শঙ্কা
চলমান মহামারির মধ্যেই আগামী ২ এপ্রিল দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থী এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন। এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নিলে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ১৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। গত বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৭২ হাজারের বেশি।
এবার ভর্তি আবেদনের শেষ সময় ১ মার্চ। আরও কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করতে পারেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে ঢাকা, সলিমুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী, মুগদা, ডেন্টাল কলেজ, কুমিল্লা, বরিশাল, দিনাজপুর ও খুলনা মেডিকেল কলেজে আবেদনের কোটা পূর্ণ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এমবিবিএস কোর্সের এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, গত বছর এইচএসসিতে অটোপাসের সিদ্ধান্তে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। তাই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ন্যুনতম জিপিএপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক বেড়ে যায়।
তারা জানান, প্রাথমিকভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৩৪টি ভেন্যুতে এক লাখ ২১ হাজার সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাথায় রেখে ভেন্যু ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন এক লাখ ৩৫ হাজার সম্ভাব্য ভর্তিচ্ছুর জন্য ভেন্যু বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বছরের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। করোনাকালে আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষা সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বিঘ্নে আয়োজনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে স্যানিটাইজার সরবরাহ, ভর্তিচ্ছুদের মাস্ক পরা, প্রতি বেঞ্চে দুজনের বেশি বসতে না দেয়াসহ (বেঞ্চ বেশি বড় হলে হয়ত তিন জন বসতে পারবেন) সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত ৩৭টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। মোট আসনের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৪ হাজার ২৩০টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (২ শতাংশ) ৮৭টি, উপজাতি কোটায় নয়টি, অ-উপজাতি কোটায় তিনটি এবং অন্যান্য জেলার উপজাতি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এমইউ/এসএস/জিকেএস