শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে : নাহিদ


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৪

নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেশন সেন্টারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) এর তৃতীয় সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় নয়, বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষে জাতির ইতিহাসে প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ সমর্থন লাভ করেছে এবং তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

নাহিদ বলেন, জ্ঞানচর্চা ও যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তুললে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা ,গবেষণা ও নতুন জ্ঞানচর্চার আলোকে গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের পরিবেশ ও পরিকল্পনা দরকার তা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও গুনগতমান বাড়াতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর,সকল বিশ্ববিদ্যালয়েকে পরিকল্পনা নিয়ে অব্যাহত ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হবেও জানান তিনি।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন আমরা সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যত।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, টিউশন ফি সাধ্যের মধ্যে রেখে সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।

সৈয়দ শামসুল হক বলেন, শিক্ষা মানুষকে মানব হয়ে উঠতে সাহায্য করে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেকে তৈরি করতে পারলেই মানুষের সার্থকতা ত্বরান্বিত হয়ে ওঠে।

উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান বলেন, গুণগতমান সম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের অংশদিার হবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষার মাধ্যমে অজ্ঞতা থেকে মুক্তি ও ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। অজ্ঞতা থেকে মুক্তির মাধ্যমেই অভাব, বেকারত্ব, দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ১ হাজার ৮০ জন গ্রাজুয়েট তৃতীয় সমাবর্তনে অংশ নেন। তার মধ্য থেকে বিজয়ীদের হাতে গোল্ড মেডেল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

উল্লেখ্য, গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য ২০০৪ সালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গড়ে ওঠে ইউল্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন হয়েছিল ২০১২ সালে। সে সময় ৭০৪ জন গ্রাজুয়েট তাদের সনদ গ্রহণ করেন।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।