শিক্ষার্থীবরণে ব্যতিক্রমী আয়োজন কিশলয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো হয়েছে নানা রকম স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড। শিক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আঁকা হয়েছে বৃত্ত। মূলত করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতেই নেওয়া হয়েছে এ ধরনের প্রস্তুতি। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশলয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পাঠদান কার্যক্রম শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষাঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনে প্রথম দিনের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ারও প্রস্তুতি চলছে।

jagonews24

এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদপুরের কিশলয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নিজেদের বানানো স্লোগান প্যাডে লিখে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত আঁকাসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ শনিবার বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনায় বেশি চাপ প্রয়োগ করতে চাই না। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে আনন্দ উপভোগ করুক। আমরা তাদের চকোলেট দিয়ে মিষ্টিমুখ করাবো।

jagonews24

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য। আমি নিজ উদ্যোগে ব্যানার করে প্রতিষ্ঠানে ঝুলিয়ে দিয়েছি, যাতে শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়। শিক্ষকদের বলেছি, এগুলো শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করিয়ে ও বারবার অনুশীলন করিয়ে দিতে। যাতে শিক্ষার্থীরা এ বক্তব্য মনেপ্রাণে ধারণ করে এবং মান্য করে। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় এগুলো মানলে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সহজ হবে। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে।

‘তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা বৃত্ত এঁকেছি, যাতে তারা সামাজিক দূরত্ব মানতে পারে। তাদের আমরা এভাবে বোঝাতে চাই যে, তারা যদি সচেতনভাবে না চলে, তবে আবারো স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর এভাবে আনন্দের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনায় উপস্থিত হতে পারবে না’- বলেন অধ্যক্ষ রহমত উল্ল্যাহ।

এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।