তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ ফেব্রুয়ারিতে

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ সময়ের পর সুপারিশ পাওয়া যেসব পদ খালি থাকবে, সেসব পদে নিয়োগে ফেব্রুয়ারিতেই দ্বিতীয় দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান জাগো নিউজকে বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞতিতে নিয়োগ পাওয়া প্রথম ধাপের মেধা তালিকায় ৩৪ হাজার শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এ সময়ের পর যেসব পদ খালি থাকবে সেখানে যাচাই-বাছাইয়ের মাধমে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে কেউ যোগদান না করলে সেখানে পরবর্তী মেধা তালিকায় যিনি থাকবে তিনি দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাদের যোগদানের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে দ্বিতীয় ধাপের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার শিক্ষককে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
সেদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়োগের মাধ্যমে সারাদেশের শিক্ষক শূন্যপদগুলো অধিকাংশ পূরণ হবে। বাকি যেসব শূন্যপদ থাকবে সেখানে নিয়োগ দিতে নতুন আরও একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত তাদের শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি রিপোর্টে কারও বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে বাদ দেওয়া হবে। নানা জটিলতার কারণে যারা নিয়োগবঞ্চিত হয়েছেন তাদের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। বড় আকারের এই শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে একদিকে শিক্ষক সংকট নিরসন হবে, অন্যদিকে বেকারত্ব দূর হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সুপারিশপত্র ডাউনলোড করবেন। সুপারিশপত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীকে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, নয়জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া, তিনজন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করায় নির্বাচিত হননি। ফলে বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যেসব প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
যেসব প্রার্থী ভি রোল ফরম পাঠাননি তাদের ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএর অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়।
এমএইচএম/কেএসআর/জিকেএস