মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আটকে আছে পলিটেকনিকের ভর্তি

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। কারণ কারিগরির নীতিমালা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে রোববার থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি কারিগরি শিক্ষাবোর্ড। তবে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ভর্তি নীতিমালা অনুমোদন হলে মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু হতে পারে।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি দেশে না থাকায় তা এখনো অনুমোদন করা হয়নি। আমরা নানাভাবে চেষ্টা করেও সেটি অনুমোদন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, রোববার থেকে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু করার চিন্তাভাবনা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, সোমবার নীতিমালা অনুমোদন হলে তার পরপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার থেকে আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
দেরি করে আবেদন শুরু করায় নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে আলী আকবর খান বলেন, এবার সাধারণ ও কারিগরিতে একযোগে ভর্তি চলবে। যেহেতু আমাদের এখানে শিক্ষার্থীর চাপ কম থাকে, তাই দুই-তিন দিন দেরি করে আবেদন শুরু হলেও তেমন সমস্যা হবে না।
জানা গেছে, দেশে ৫৬৪টি সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে। এর মধ্যে ৫১৫টি বেসরকারি। বাকিগুলো সরকারি। এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, একটি গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউট ও একটি গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকস ইনস্টিটিউটটে শিক্ষাথী ভর্তি করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে সবমিলিয়ে আসন আছে প্রায় ৯ লাখ। যদিও এবার কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এক লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন পাস করেছে। তবে মাদরাসা ও স্কুল থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকে। তাদের জন্যই ভর্তি নীতিমালা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার www.btebadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। ভর্তি নীতিমালায় এবার বেশকিছু পরিবর্তন ও সংযোজন আছে। কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রী ভর্তি বাড়াতে তাদের জিপিএ শর্ত কমানো হয়েছে। জিপিএ-২.৫ পেলেই ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। এছাড়া তাদের জন্য নিজ জেলা বা পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। মেরিন টেকনোলজিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য বয়স অনুযায়ী উচ্চতা, ওজন (বিএমআই) ইত্যাদি যুক্ত করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে পাসকরা শিক্ষার্থীদের সিডিসি (কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) দেওয়া হবে, যাতে বিদেশি জাহাজে তারা চাকরির আবেদন করতে পারে।
কেননা, নির্দিষ্ট উচ্চতা ছাড়া ওইসব জাহাজে নাবিক নেওয়া হয় না। ফলে মেরিন টেকনোলজি পাস করেও কেবল বিএমআই শর্তে বাদ পড়েন অনেকেই। এ জন্যই এবার এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এবার মোট দুই দফা বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে মেধাতালিকা থেকে একাধিকবার শূন্য আসন পূরণের চেষ্টা করা হবে। এরপরও যদি আসন শূন্য থাকে, তাহলে ফের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
এমএইচএম/কেএসআর/জেআইএম