বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে দেশের উন্নয়ন মসৃণ হবে

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করলে দেশের উন্নয়নের গতি মসৃণ হবে। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গবেষণায় প্রচুর সময় ও অর্থ খরচ করে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরকারও তাদের গবেষণালব্দ ফলাফল গ্রহণ করে নীতি নির্ধারণী কার্যক্রমে ব্যবহার করতে পারে।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর আয়োজনে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বিজ্ঞান: মহামারি পরবর্তী যুগে চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায় বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আশকোনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত এক দশকে দেশে অভুতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যার সুফল দেশবাসী পাচ্ছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি, যা গত ২৫ জুন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মেট্রোরেলও উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা আরেকটি মাইলফক অর্জন করেছি।
এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার মতো স্থাপনার সুফল অচিরেই মানুষ ভোগ করবে। রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আমাদের সরকার পায়রা বন্দর ও মাতারবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে আমাদের জিডিপি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করায় নর্দান ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে এগিয়ে আসলে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্য ত্বরান্বিত হবে। কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। এটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। আশা করি আজকের সম্মেলনে এ থেকে উত্তরণের উপায় ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ৭টি দেশের (ভারত, মালয়েশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তুরস্ক ও বাংলাদেশ) ৯৩ জনেরও বেশি গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং করপোরেট বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন। এতে বিভিন্ন সমকালীন বিষয়ে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
এনএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম