মনিপুর স্কুলের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি অভিভাবকদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য, অবৈধভাবে ট্রাস্ট গঠনের অপচেষ্টা এবং অভিভাবকদের হয়রানির অভিযোগ এনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনের অপসারণ দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় অভিভাবক ফোরাম।

তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অমূলক দাবি করে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি বৈধ্যভাবে পুনরায় দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। আর অন্যান্য বিষয় আদালতে বিচারাধীন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের আহ্বায়ক মো. সাইফুল আলম।

তিনি বলেন, ‘মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ অবৈধভাবে ক্ষমতার মসনদে বসে আছেন। তার চাকরির বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো-২০১৮ এর ১১.৬ বিধি লঙ্ঘন করে তাকে ৩ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। যে কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনেও তাকে অবৈধ ঘোষণা করাসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়।’

আরও পড়ুন>> গভর্নিং বডি বর্জনের ঘোষণা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকদের

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধভাবে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছি। মনিপুর স্কুরে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর ৮০ হাজার অভিভাবকের মাঝে মাত্র ২০ থেকে ৩০ জন যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অপসারণ দাবি করছেন সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার অপসারণ সম্পর্কিত একটি মামলাও বিচারাধীন। কোর্টই সিদ্ধান্ত দেবে আমার বিষয়ে। ২০২২ সালের একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ বাড়াতে পারে। সে অনুযায়ী আমাকেও দুই বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পিইসি পরীক্ষায় আমাদের স্কুল সবার শীর্ষে। অপরদিকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যেটা সারাদেশে প্রথম। গত বছরেও ২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, সেটাও সারাদেশে প্রথম অবস্থান ছিল। প্রতিষ্ঠানের এ ধারাবাহিক সাফল্য দেখতে না পেরে এক শ্রেণির লোক উদ্দেশ্যাপ্রণোদিতভাবে স্কুলটির ঐতিহ্য ধ্বংসের পায়তারা করছে।’

সংসবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী, আব্দুস সালিম পুলক, একলিমুররেজা এবং ফারজানা আলম প্রমুখ।

এমএইচএম/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।