শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি বন্ধে শিক্ষা প্রশাসনের নতুন উদ্যোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩
ফাইল ছবি

একজনকে শিক্ষক চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার পর এমপিওভুক্তির আবেদন করতে গিয়ে দেখেন তার আগে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জালিয়াতি করে পেছনের তারিখ দিয়ে অন্য জনকে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এসব জালিয়াতি বন্ধ করতে এবার অভিনব কৌশল হাতে নিয়েছে শিক্ষাপ্রশাসন।

এজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের তথ্যের সঙ্গে ব্যানবেইস সংরক্ষিত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাই করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে এমপিওর আবেদনের তথ্য ব্যানবেইসের তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ নির্দেশনা দিয়ে গত ৬ এপ্রিল পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রোববার (৯ এপ্রিল) পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্তর এমপিও কোড পাওয়ার পর ব্যক্তি এমপিওর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যক্তি এমপিওভুক্তির সময় আগের তারিখ ও স্মারক ব্যবহার করে অন্য শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এ অবস্থায় শিক্ষক কর্মচারীর ব্যক্তি এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ধাপে (উপজেলা, জেলা, অঞ্চল অধিদপ্তর পর্যায়ে) ২০১৩ সাল থেকে ব্যানবেইসে অনলাইনে সংগৃহীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের ডাটাবেইসে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে ব্যক্তি এমপিওভুক্তির জন্য দাখিল করা তথ্য তুলনামূলক যাচাই বাছাই করতে হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এমএইচএম/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।