গুগল সার্চে বেশি সময় কাটান ভারতীয় নারীরা


প্রকাশিত: ০৩:৫৬ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬
ফাইল ছবি

ভারতে পুরুষের চেয়ে  নারীরাই গুগল সার্চে বেশি সময় কাটান। তাদের অনুসন্ধান তালিকায় থাকে স্বাস্থ্য, ফ্যাশন, রূপচর্চা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো। গুগল ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।

এতে বলা হয় ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের নারীরা গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করেন। যা মধ্যবয়সী পুরুষের তুলনায় ১২৩ শতাংশ বেশি। গুগল সার্চে ‘মিনিটে সময় ব্যয়’-এর নিরিখে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির এই হার নির্ণয় করা হয়েছে।

গুগল ইন্ডিয়ার বিবৃতি অনুযায়ী, দেশটিতে নারীর জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে তথ্যপ্রযুক্তি বড় ভূমিকা রাখছে। তারা ইন্টারনেটে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় কাটাচ্ছেন । এটি একটি ইতিবাচক দিক।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৫ ঊর্ধ্ব নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে গুগল সার্চ ব্যবহারকারী বেড়েছে। গত বছর ইন্টারনেট ব্যবহারে ১৫ থেকে ২৫ বছরের তরুণী ও ২ থেকে ৩৫ বছরের কর্মজীবী নারীদেরও ছাড়িয়ে গেছেন।

আবার ‘অনুসন্ধান মিনিট’-এর নিরিখে দেখা গেছে, তরুণদের চেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে তরুণীরা এগিয়ে। ১৫ থেকে ২৪ বছরের তরুণীদের গুগল সার্চে সময় ব্যয় ২০১৫ সালে ১১০ শতাংশ বেড়েছে। পক্ষান্তরে তরুণদের বৃদ্ধির হার ১০৪ শতাংশ।

২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী পুরুষদের ৯৮ শতাংশ গুগল সার্চে বেশি সময় কাটালেও এক্ষেত্রে নারীদের হার  ১০৮ শতাংশ।

এছাড়া বাবাদের তুলনায় মায়েরাই গুগল সার্চ বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন। প্রতি তিনজনের একজন, অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ মা ওয়েবে সময় কাটান। বিপরীতে এক্ষেত্রে বাবার সংখ্যা চারজনে একজন বা ২৫ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল  ইন্টারনেট ও অনলাইনের অধীনে চলে এসেছে। তাই নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। নিত্যনতুন খাবারে আগ্রহ তিনগুণ বেড়েছে তাদের। গুগল সার্চে পুরুষদের চেয়ে তারাই খাবারের দোকানগুলোর ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারেন বেশি। একই কথা খাটে বিনোদন, স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের ক্ষেত্রেও।

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দেশ ভারত। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরেই তাদের অবস্থান। দেশটিতে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ৩২ কোটি ৫০ লাখ।

এমএমজেড/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।