‘স্মার্ট বাংলাদেশের পথে হাঁটার সময়ে হঠাৎ ১৬০ বিবৃতিদাতার উদ্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের এ পর্যায়ে আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে নিয়ে ডিজিটাল এবং স্মার্ট বাংলাদেশের পথ ধরে যখন হাঁটবো, ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ করে ১৬০ জন বিবৃতিদাতার উদ্ভব হয়েছে।’

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্রব ছিল দাবি করে অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘একটু মিলিয়ে দেখুন- ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্রব ছিল। কেননা বঙ্গবন্ধু সেদিন যে দ্বিতীয় বিপ্লব প্রবর্তন করেছেন, সেটি ছিল পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক দর্শন। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্বের অন্য কোনো দেশ থেকে ইজম ধার করে নয়, আমি আমার আদলে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়বো।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সমবায়ী পদ্ধতির মধ্যদিয়ে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী হয়ে নতুন সমাজ গড়তে চাইলেন। তিনি বললেন, প্রচলিত সমাজব্যবস্থা আমি ভেঙে ফেলবো, নতুন সমাজ গড়বো। সেই নতুন সমাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ হয়নি। কেননা তার পথ ধরে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বিশ্বে এক নতুন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হতো।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

‘কেউ যখন বলেন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা আমেরিকা হতে পারতো। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। বাংলাদেশ কখনোই তা হতে চায়নি। বাংলাদেশ বাংলাদেশ হতে চেয়েছে। সেই বাংলাদেশে পাকিস্তান, সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের দোসরদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মশিউর।

বর্তমানেও একই চিত্র বিরাজ করছে উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘ঠিক একইচিত্র আজকে ১৬০ জন বিবৃতিদাতাদের মধ্যে দেখি। আপনারা কার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? ড. ইউনূস, যার অর্থনৈতিক মুনাফা ও সুদের বাণিজ্য যেটি পুঁজিবাদের পক্ষে যায়। সে কারণেই আপনারা তার পক্ষে। আর আপনারা কার বিপক্ষে? শেখ হাসিনার, যিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছেন। বেদে, হিজড়া, বিধবা, কৃষক, জেলে, গৃহহীন থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায়ের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তার মডেল আর ড. ইউনূসের মুনাফার মডেল এক নয়। সামাজিক নিরাপত্তার মডেলে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আর গ্রামীণ ব্যাংকের ওই মুনাফার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. ইউনূস নিজে বেনিফিশিয়ারি হয়। এ কারণেই আপনারা পুঁজিবাদের পক্ষে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।’

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনির সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সহিদুল হক মোল্লা প্রমুখ।

এএএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।