সমতাভিত্তিক সমাজ গড়তে প্রয়োজন শতভাগ সাক্ষরতা: প্রতিমন্ত্রী

সমতাভিত্তিক সমাজ গড়তে দেশের শতভাগ নাগরিককে সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সাম্য ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের শতভাগ নাগরিককে সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে।’
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিপদে পাঁচ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাই সমৃদ্ধ জীবনের চাবিকাঠি। শিক্ষাই আলোকিত আগামীর পথ দেখায়। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঝরে পড়া শিশুসহ বয়স্কদের সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তুলতে হবে। পাশাপাশি তাদের জীবিকায়নের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে বাস্তবসম্মত নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ, পরিবর্তনশীল সমাজের অঙ্গীকার
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক আবদুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, বিএনএফইর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, ইউনেসকোর ঢাকা অফিস ইনচার্জ মিজ সুজান ভাইজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নুরজাহান খাতুন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এ বছর সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে সাক্ষরতা দিবসে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এএএইচ/কেএসআর/এএসএম