‘শিক্ষক সংকট ভয়াবহ, পদসৃজন না হওয়ায় বাধাগ্রস্ত নিয়োগ’

শিক্ষক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এবং পদসৃজন না হওয়ায় শিক্ষক নিয়োগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিক্ষকরাই গড়ে তুলবেন। কিন্তু তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার যদি না দেওয়া হয় তাহলে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। পদসৃজন করে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। আমরা নতুন করে আর কিছু চাই না।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি করেন শিক্ষা ক্যাডাররা।
যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচি করা হয়। কর্মসূচি থেকে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, পদোন্নতির জন্য শিক্ষা ক্যাডারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। পদসৃজন না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ৯ বছর ধরে আমাদের ১২ হাজার ৪৪৪টি পদসৃজন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় এখন বলছে, আবার নাকি আগের পদ্ধতিতে করা হবে। তাহলে এতদিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো? আমরা ধারণা করছি, আবারও দীর্ঘসূত্রতার ফাঁদ তৈরি করছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ক্যাডার কম্পোজিশন এখনো অক্ষত। যদি সংস্কার করতে হয়, তাহলে সেটা কারা করবে? অবশ্যই যারা শিক্ষা ক্যাডারে আছেন, তাদের পরামর্শে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. দবিউর রহমান, অধ্যাপক মো. মামুন উল হক, অধ্যাপক ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্ল্যা, যুগ্ম-মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার ও প্রচার সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর প্রমুখ।
এএএইচ/এমকেআর/জেআইএম