বঙ্গবন্ধু রাজনীতিবিদ না হলে অসাধারণ লেখক হতেন: শিক্ষামন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিবিদ না হলে অসাধারণ লেখক হতেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘জেলে বসে তিনি লিখেছেন। কী অসাধারণ গাঁথুনি। অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি হাতে নিলে না পড়ে যেন থাকাই যায় না। আমি তো বলি- বঙ্গবন্ধু যদি রাজনীতিবিদ না হয়ে লেখক হতেন, তিনি বাংলাদেশের অসাধারণ একজন লেখক হতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও একজন সুলেখক। তিনি ভালো সম্পাদকও বটে।’
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, পড়াশোনার বাইরে যেসব বই পড়া উচিত, তার মধ্যে প্রথমেই থাকবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। যেখানে আমাদের ইতিহাসকে খুঁজে পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধুকে জানা মানেই বাংলাদেশকে জানা, আমাদের নিজেদের জানা। টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকার ছেলেবেলা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা পর্যন্ত প্রতিটি পথ আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশের পতাকা, নাম পাল্টে ফেলার ঘোষণা দিয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী দোসররা। কিছুদিন আগে একজন মানবতাবিরোধী অপরাধী প্রয়াত হয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছয় দফা দিয়েছিলেন। দেশের নাম বাংলাদেশ থাকবে না, পতাকায় চাঁদ-তারা যুক্ত করতে হবে- এমন সব দাবি তারা করেছিল। তাদের সেই অপচেষ্টা বাস্তবায়ন হয়নি, আগামীতেও হবে না।
বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে একাত্তরে অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল ৯ কোটি নিরস্ত্র বাঙালি। এ ভূ-খণ্ড স্বাধীন হোক, সেটা সেদিন অনেকে চাননি। সপ্তম নৌবহর চলেও এসেছিল বঙ্গোপসাগরে। বাঙালিকে সেদিন দাবায়ে রাখা যায়নি। আগামীতেও কোনো বাধা বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌস আরা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক আলেয়া আক্তার, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল প্রমুখ।
এএএইচ/এমএএইচ/জিকেএস