‘আদাভান’ উপন্যাসের থিম এক কথায় অসাধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে গাজী তৌহিদুল ইসলাম সিজারের উপন্যাস ‘আদাভান’। বইটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিভিউ দিয়েছেন অনেক পাঠক।

‘আদাভান’র লেখক গাজী তৌহিদুল ইসলাম সিজার দীর্ঘদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজ্ঞাপন

‘আদাভান’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিজেকে কথাসাহিত্যের পরিচিত একটি কাল্পনিক চরিত্রকে মনেপ্রাণে আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে বিশ্বাস করে। তার ধারণা তার কাজকর্মেও প্রচুর মিল রয়েছে গুরুর সঙ্গে। মিল রয়েছে পোশাক এবং চলাফেরায়। মানুষের ধারণা তার রয়েছে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। তাকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে বিভিন্ন রকম চমকপ্রদ ঘটনা।

আরও পড়ুন: আহমেদ সাব্বিরের হাসির ছড়াগ্রন্থ ‘সামান্য ব্যাপার’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি এই বইয়ে উঠে এসেছে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও প্রতিবাদ, ইতিহাস ঐতিহ্য। রয়েছে প্রেম ভালোবাসা ও টানাপোড়েন।

এই উপন্যাসের ষষ্ঠ ভাগে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বর্ণনায় মৌলভী শেখ আবদুল হালিম, আশরাফ মোল্লা, এবং মেজর ছাড়া উপন্যাসের অন্যান্য সব চরিত্র কাল্পনিক।

পাশাপাশি বইয়ের ষষ্ঠ ভাগে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থাপত্যের বর্ণনায় আজম শাহ, পরীবিবি, শায়েস্তা খান, আওরঙ্গজেবের নাম ব্যবহৃত হয়েছে। আর নবম ভাগে ব্যবহৃত হয়েছে নবাব আহসানউল্লাহ, শাহবাগের বাগানবাড়ি, মধুর ক্যান্টিন, ঢাকা গেট, সম্রাট আওরঙ্গজেব, বাদশাহি বাগান ও মীর জুমলার নাম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বইমেলায় শিশুদের বিনোদন দিচ্ছে সিসিমপুর, বাড়ছে আগ্রহ

‘আদাভান’র রিভিউ দিতে গিয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফ ইসলাম লিখেছেন, আদাভান উপন্যাসের থিম এক কথায় অসাধারণ। এই গল্পের প্রধান চরিত্রটি অপ্রতিম। তার চরিত্রটির একদিকে রয়েছে জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীনভাব, যা আচরণে বেখেয়ালি আবার পাশাপাশি রয়েছে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। মানুষের প্রতি রয়েছে প্রকৃত দরদ, উপকার করতে অকুণ্ঠ। আবার এ চরিত্রটিকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে সমাজের বাস্তব ও চমকপ্রদ মজাদার ঘটনা। একদম নতুন ধারার গল্প, যা আপনাকে বাধ্য করবে গল্পের মধ্যে ঢুকে যেতে।

তিনি আরও লিখেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুকৌশলে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের কালের খেয়া কিছু স্থাপনার অজানা তথ্য। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে পরি বিবির হাম্মামখানা, শাহবাগের বাগানবাড়ী, নাচঘর, বাদশাহি বাগান, ঢাকা গেট, বঙ্গবন্ধুর দাফন, রবীন্দ্রনাথের বিয়ে ও শ্বশুড়বাড়িসহ বেশ কিছু ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: মনদীপ ঘরাইয়ের ‘একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি’

ওই শিক্ষার্থী বলেন, গল্পের প্রয়োজনে হৃদয়গ্রাহীভাবে উঠে এসেছে বিখ্যাত সাহাবা আবু হুরায়রা (রা.) এবং নবী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি ঘটনা, সনাতন ধর্মের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ও কৃষ্ণচূড়ার সম্পর্ক, কচুরিপানার মাধ্যমে বাংলার অর্থনৈতিক মন্দা। পার্শ্ব চরিত্রর মধ্যে জন মিল্টন, নুরুদ্দিন, আব্দুল মজিদ। গল্পে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, অনাচার, অন্যায়কে তুলে ধরে প্রতিবাদ করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভয়ঙ্কর কিছুদিক তুলে ধরা হয়েছে যা পড়ার পর আপনার শরীরে শিহরন জাগাবে। এই গল্পের সমাপ্তিটা একদমই অপ্রত্যাশিত। আমি এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪.৭৫ রেট দেবো।

লেখক গাজী তৌহিদুল ইসলাম সিজার গোপালগঞ্জের আড়পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।