বইমেলায় শিশুদের বিনোদন দিচ্ছে সিসিমপুর, বাড়ছে আগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বইমেলায় সিসিমপুর দেখতে মা-বারা সঙ্গে এসেছে শিশুরা

অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা হয়েছে অস্থায়ী শিশুচত্বর। শুক্র ও শনিবার, ছুটির দিনে এখানে দেখানো হয় সিসিমপুর। টিভিতে দেখা অনুষ্ঠানটি মেলায় এসে দেখে বেশ উপভোগ করে শিশুরা। পছন্দের চরিত্র টুকটুকি, হালুম, ইকরি আর শিকুদের সঙ্গে নেচে-গেয়ে সময় পার করে তারা। ফলে বইমেলায় সিসিমপুরে বাড়ছে শিশুদের আগ্রহ।

আরও পড়ুন: ‘জীবনের অনেক কিছু সিসিমপুর থেকে শিখেছি’

একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের গেটের প্রবেশ মুখে শিশুচত্বর। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিসিমপুর উপভোগ করছে কয়েকশ শিশু। মূলত ছুটির দিনে বেলা সাড়ে ১১টায়, বিকেল সাড়ে ৩টায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আয়োজন করা হয় সিসিমপুর।

রাজধানীর কলাবাগান থেকে আসা শিশু জারিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলে, মেলায় সিসিমপুর দেখতে এসেছি। অনেক মজা করেছি।

jagonews24

আরও পড়ুন: শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জিতলো সিসিমপুর

বাবার সঙ্গে ধানমন্ডি থেকে বইমেলায় এসেছে মাহিয়া তাবাসসুম। সিসিমপুর দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত সে। বলে, মেলায় সিসিমপুরের বন্ধুদের দেখেছি। তারা নাচ-গান করেছে।

ছেলেকে নিয়ে আসা আকবর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বইমেলায় প্রতিবছরই আসি। ছেলেকে নিয়ে ছুটির দিনে মেলায় এলাম। সকালে ধুলোবালি ও ভিড় কম থাকে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটিও দেখার সুযোগ পায় বাচ্চারা। অনেক বাচ্চাদের সঙ্গে সিসিমপুর দেখে বেশ আনন্দ পায় তাই মেলায় নিয়ে আসা।

আরও পড়ুন: এবার দুরন্তদের জন্য সিসিমপুর

ফাজর আহমেদ নামের এক অভিভাবক বলেন, মেলায় ঘুরতে আসার পাশাপাশি ছেলেকে সিসিমপুর দেখানো ও সিসিমপুরের বই কিনে দেওয়া সবকিছুই করা যায়। ছেলেও অনুষ্ঠান বেশ ভালোই উপভোগ করেছে।

এদিকে সিসিমপুরের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের দিকে বইমেলায় সিসিমপুর দেখানো শুরু হয়। তখন মাসে একদিন একটি অনুষ্ঠানে সিসিমপুর দেখানো হতো। এরপর থেকে শিশুদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। ফলে এখন বইমেলায় প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুর দেখানো হয়।

আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।