গানে গানে ৫০ পূর্ণ করলেন রুনা লায়লা
রুনা লায়লা। এক নামেই সংগীত দুনিয়ায় যার পরিচয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উপমহাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে আবির্ভাব তার ’৬০-এর দশকেই। সম্প্রতি সংগীত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী।
এত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেও রুনা লায়লার তুলনা যেন শুধুই তিনিই। জনপ্রিয়তা, সফলতা, প্রাপ্তির সঙ্গে এতটা বছর পাড়ি দিয়ে তিনি নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য কমসংখ্যক মানুষেরই জোটে। নিজের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন এই মহাতারকা। শুধু গানই নয়, তরুণ প্রজন্মের কাছে ফ্যাশন আইকনেও পরিণত হয়েছেন তিনি। তার সাজসজ্জা, পোশাক, গাওয়ার ভঙ্গি থেকেশুরু করে সবকিছুই অনুসরণীয় মনে করেন তরুণ প্রজন্ম।
এদিকে সংগীত জীবনের ৫০ বছর পার করে আসা এ মহারথী ক’দিন আগেই ভারতের রেডিও মিরচি থেকে পেয়েছেন ‘চীর নবীন সুরশ্রী-২০১৪’ পুরস্কার। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ৫০ বছর পথ পাড়ি দেয়ার পরও রুনা লায়লার গায়কী আছে ঠিক আগের মতোই। একটুও যেন নড়চড় নেই। অন্যান্য ক্ষেত্রে তো বটেই, স্টেজে এখনও একইভাবে রুনা লায়লার গানে আনন্দিত ও আবেগাপ্লুত হন শ্রোতা-দর্শক।
১৯৫২ সালের ১৭ই নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করা এ গায়িকা আবদুল কাদের পিয়ারাঙ ও ওস্তাদ হাবিবুদ্দিন খানের কাছে গানের তালিম নেন। তখন তিনি করাচিতে থাকতেন। মাত্র ছয় বছর বয়সে গান শুরু করেন রুনা। এরপর মাত্র সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ ছবির মাধ্যমে প্লেব্যাকের খাতায় নাম লেখান তিনি।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্লেব্যাক করেন পাকিস্তানের অনেক ছবিতে। ১৯৭৪ সালে ‘এক ছে বারকার এক’ ছবির মধ্য দিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু হয় তার। একই বছরে স্বাধীন বাংলাদেশে সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন ছবিতে একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিতে থাকেন রুনা।
এআরএস/আরআইপি