কৃষ্ণচূড়া-জারুল ও সোনালুতে সেজেছে বরিশালের পথঘাট

কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে সেজেছে বরিশালের অলিগলি থেকে শুরু করে পথঘাট সর্বত্র। যেদিকেই চোখ যায় দেখা মিলবে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের সমাহার।
বরিশালের নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো পথঘাট। নদী পথে বরিশালের প্রবেশদ্বার লঞ্চ ঘাট এলাকায় বিশাল এরিয়া জুরে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া গাছের দীর্ঘ সারি। প্রতিটি গাছই ছেয়ে গেছে কৃষ্ণচূড়া ফুলে। দূর থেকে দেখে যে কেউ ভাববে হয়তো আগুন লেগেছে লঞ্চ ঘাট এলাকায়। কিন্তু কাছে গেলেই দেখা মেলে আগুন লাগা সৌন্দর্যের।
একই সৌন্দর্য্যের দেখা মেলে বরিশালের ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের স্থান বান্দ রোড সংলগ্ন নগরীর বেলস পার্ক গেলে। সেখানে সোনালু ফুলের সোনালি আভায় ছেয়ে গেছে পুরো বেলস পার্কের লেকের চারিপাশ। তার মাঝে মাঝে থাকা জারুল ফুলের সারি বহুগুণে বাড়িয়েছে বেলস পার্কের সৌন্দর্যকে।
পরিবার নিয়ে বেলস পার্ক ঘুরতে আসা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আসলে এখানে ঘুরে দেখার মতো কিছুই নেই। শুধু সুবিশাল একটি মাঠ তার চারপাশে ওয়াকওয়ে। অনেক আগে এসেছিলাম। তেমন একটা আসা হয় না। তবে এখন এসেছি শুধু কৃষ্ণচূড়া জারুল ও সোনালু ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর ছবি তুলতে।’
বেলস পার্ক ঘুরতে এসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইতি বলেন, ‘বরিশালের অনেক জায়গায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুল ফুটতে দেখেছি। তবে এই বেলস পার্ক ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় একসঙ্গে সারি সারি অনেক বেশি গাছ থাকায় সেখানের সৌন্দর্য অনেকটা মুগ্ধ করে সবাইকে। তবে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালু ফুলের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা ক্যাম্পাসও ছেয়ে গেছে।’
কবি ও লেখক সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রকৃতি মেলে ধরেছে তার আপন রং। বরিশাল শহরের প্রতিটি রাস্তার অলিগলিতে দেখা মেলে কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও সোনালুর। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখে অনায়াসে যে কেউ প্রকৃতির প্রেমে পড়তে বাধ্য হবেন।’
মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘এজন্যই কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে আমি ভুবন ভোলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে। ইট-পাথর আর কোলাহলের নগরীতে যেন সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতেই ফোটে কৃষ্ণচূড়া। তার রং যেন সতেজ করে দেয় পথিকের মন।
কেএসকে/এএসএম