বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি পার্ল

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি পার্ল। আমেরিকার টেক্সাসে পার্ল সোনিয়া হালের কাছে বেড়ে উঠেছে। পার্লের এখন বয়স ১৪ বছর ৬৯ দিন। সম্প্রতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি হিসেবে নাম লিখিয়েছে পার্ল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল মিশিগানের ২১ বছর বয়সী পিনাটের।

২০১১ সালের ১৩ মার্চ সোনিয়া তার ব্যক্তিগত ইনকিউবেটারে মুরগির বাচ্চা ফোটান। যেটার নাম দেন পার্ল। সেই থেকেই পার্ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের লিটল এলমের হাল পরিবারের একজন প্রিয় সদস্য। এরপর কেটে গেছে ১৪ বছর। অনেক ঝড়ঝাপ্টা গেছে পার্লের উপর দিয়ে।

পার্ল তার ভাঙা পা, র্যাকুনের আক্রমণ, আর্থ্রাইটিস এবং চিকেন পক্স (হ্যাঁ, মুরগিরও চিকেন পক্স হয়, সোনিয়া বলেন) কাটিয়ে উঠে ২২ মে, যখন তার বয়স ১৪ বছর ৬৯ দিন ছিল, তখন সে এই খেতাব অর্জন করে।

সাধারণত একটি মুরগি ৩ থেকে ১০ বছর বাঁচে, সেখানে পার্ল প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পার করেছে জীবনের। পার্ল ছোটবেলায় অন্যান্য মুরগির সঙ্গেই বাইরে একটি খাঁচায় থাকত। তবে বার্ধক্যের কারণে তার চলাফেরা কমে যাওয়ায়, সোনিয়া তাদের লন্ড্রি রুমে পার্লের জন্য একটি জায়গা তৈরি করে যাতে পার্ল শান্তিতে তার দিন কাটাতে পারে।

সে প্রতিদিন বাইরে ঘুরে বেড়াতে এবং রোদ পোহাতে বেশ পছন্দ করে। কিন্তু টেক্সাসের আবহাওয়া বয়স্ক পার্লের জন্য অনেক বেশি ঠান্ডা, তাই খুব বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে হাঁপাতে শুরু করে সে।

বয়সের কারণে, সে খুব ভালোভাবে হাঁটতে পারে না। তবে সে দৌড়াতে পারে, কিছুটা লাফিয়ে এবং তার বাতের ব্যথাযুক্ত পা এবং নখ প্রসারিত করার চেষ্টা করে।

পার্ল প্রতিদিন তাজা পালং শাক এবং লেটুস, ফল এবং বাদাম খায়। সে টিভি দেখতে খুব পছন্দ করে। এখন তার বন্ধু তার রুমমেট একটি বিড়াল। তার সঙ্গে তার বেশ সখ্যতা। বয়সের কারণে এখন পার্ল খুব কম ডিম দেয়। সোনিয়াদের পরিবারের একজন সদস্যের মতোই পার্ল এখনো বেড়ে উঠছে। যতদিন যে জীবিত থাকবে তাদের সঙ্গেই এভাবে হাসি আনন্দে থাকবে তারা।

আরও পড়ুন

সূত্র: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।