লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ দিবস

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

লতা মঙ্গেশকর ছিলেন ভারতের একজন স্বনামধন্য গায়িকা। তিনি এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন এবং তার গাওয়া মোট গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোর (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে বাড়িতে কে এল সায়গল ছাড়া আর কিছু গাওয়ার অনুমতি ছিল না তার। বাবা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর চাইতেন লতা শুধু ধ্রপদী গান নিয়েই থাকুক। জীবনে প্রথম রেডিও কেনার সামর্থ্য যখন হলো, তখন তার বয়স আঠারো। কিন্তু রেডিওটা কেনার পর নব ঘুরাতেই প্রথম যে খবরটি তাকে শুনতে হয় তা হচ্ছে, কে. এল. সায়গল আর বেঁচে নেই। সঙ্গে সঙ্গেই রেডিওটা ফেরত দিয়ে দেন তিনি।

৫ বছর বয়সে বাবার পরিচালিত গীতি-নাট্যে অভিনয় করেন। ১৯৪১ সালে রেডিওতে দুটি গান রেকর্ড করেন, বাবার মৃত্যুর পর পেশা জীবনে পা রাখেন। ১৩ বছর বয়সে মারাঠি গানের রেকর্ড হয়, কিন্তু সে গান সিনেমা থেকে বাদ যায়। তার প্রথম হিন্দি গান মারাঠি ‘জগভাউ’ নামক ছবিতে। হিন্দি চলচ্চিত্র ‘আপ কি সেবা মে’ প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন তিনি। তারপর ১৯৪৮ সালে প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায়-এর ছবি ‘শহিদ’ ছবিতে তিনি সুযোগ পান এবং মজবুর সিনেমায় ‘দিল মেরা তোড়া’ গানে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা পান।

তার জনপ্রিয় কিছু বাংলা গান- আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের, প্রেম একবারই এসেছিল, রঙ্গিলা বাঁশিতে কে ডাকে, না যেও না রজনী এখনও, ওগো আর কিছু তো নাই, আকাশ প্রদীপ জ্বলে, একবার বিদায় দে মা, সাত ভাই চম্পা, নিঝুম সন্ধ্যায়, চঞ্চল মন আনমনা হয়, বাঁশি কেন গায়, যদিও রজনী পোহাল তবুও, ও মোর ময়না গো, কেন কিছু কথা বলো না, আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব, চঞ্চল ময়ূরী এ রাত ইত্যাদি।

জনপ্রিয় হিন্দি গান- তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম, দুনিয়া করে সওয়াল তো হাম বহু, অ্যায় দিল এ নাদান রাজিয়া, নাম গুম জায়েগা, সুন সাহিবা সুন, সিলি হাওয়া ছু গয়ি, ইয়ারা সিলি সিলি, দিল তো পাগল হ্যায়, তেরে লিয়ে, দিল হুম হুম করে, জিয়া জ্বলে, আজা রে পরদেসি, তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোই ইত্যাদি।

লতা মঙ্গেশকর তার কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, ৪টি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ২টি বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, লেজিওঁ দনর পুরস্কার পেয়েছেন। এমনকি ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অব রেকর্ডে নাম ওঠে তার। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।