৫০০০ বিষাক্ত বিচ্ছুর সঙ্গে ৩৩ দিন কাটালেন নারী

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিচ্ছু বা বিছা অনেকের কাছেই ভয়ংকর এক পতঙ্গ। যা দেখলে কয়েক হাত দূরেই থাকতে চান। কারণ এর এক কামড়ে যে যন্ত্রণা তা সহ্য করা খুবই কঠিন। এমনকি বিষাক্ত বিছের কামড়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই বিষাক্ত ৫ হাজার ৩২০টি বিচ্ছুর সঙ্গে মাত্র ১২ স্কয়ার ফুটের একটি কাচের ঘরে ৩৩ দিন ও রাত কাটিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন এক নারী।

থাইল্যান্ডের বাসিন্দা কাঞ্চনা কেতকাউ এমনই সাহসী কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে এই রেকর্ডটি করেন কাঞ্চনা। ২০০২ সালে করা নিজের রেকর্ডটিই ভাঙেন তিনি। এরপর নতুন করে এখনো কেউ এই রেকর্ড করতে পারেনি।

আরও পড়ুন: দাড়ি দিয়ে গাড়ি টেনে রেকর্ড

কাঞ্চনার সঙ্গে ৫ হাজার বিচ্ছু প্রথমে দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই ৩৩ দিনে অনেক বিচ্ছু মারা গেছে আবার অনেক বিচ্ছুর জন্মও হয়েছে। এরমধ্যে আরও ১ হাজার বাড়তি বিচ্ছু সেই কাচের ঘরের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল।

কাঞ্চনাকে মোট ১৩ বার বিচ্ছু কামড়েছিল। তবে বহু বছর ধরে তিনি শরীরে বিছের কামড় সহ্য করার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ফলে বিষ তার উপর খুব কম প্রভাব ফেলেছিল।

কাঞ্চনার রেকর্ডটির আয়োজন করেছিল রিপলির বিলিভ ইট অর নট! পাতায়ার রয়্যাল গার্ডেন প্লাজা শপিং মলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে অনেক পর্যটক এবং মিডিয়ার মানুষ জড়ো হয়েছিল কাঞ্চনাকে দেখতে।

আরও পড়ুন: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা ‘মুলেট’ চুল এই নারীর

কাচের ঘরটিতে দেওয়া হয়েছিল একটি টেলিভিশন, একটি বিছানা, বই এবং একটি রেফ্রিজারেটর। সেখানে খাবার শুধু কাঞ্চনার জন্যই নয় বিচ্ছুদের জন্যও দেওয়া হতো। প্রতিদিন বিচ্ছুদের কাঁচা ডিম এবং শূকরের মাংসের মিশ্রণ খেতে দিতো কাঞ্চনা। তাকে প্রতি আট ঘণ্টায় ১৫ মিনিটের টয়লেট বিরতির অনুমতি দেওয়া হতো।

এছাড়া কাঞ্চনা বেশিক্ষণ বিচ্ছু মুখের মধ্যে নিয়ে রাখার রেকর্ডও করেছিলেন। তিনি একটি বিষাক্ত বিচ্ছুকে ২ মিনিট ৩ সেকেন্ড তার মুখের ভেতর রেখেছিলেন। কাঞ্চনার আগে সর্বপ্রথম এই রেকর্ড করেন মালয়েশিয়ার নর মালেনা হাসান। তিনি ৩০ দিন থাকতে পেরেছিলেন। তাকে বিচ্ছুরা ৭ বার কামড় দিয়েছিল। শুরুতে বিষের প্রভাব কম হলেও ধীরে ধীরে তার শরীরে ছড়িয়ে পরে তা। ৩০ দিন পর তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বের করে আনা হয়।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।