সচেতনতা বাড়াতে ব্যতিক্রমী স্থিরচিত্র

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

স্থিরচিত্রগুলো দেখে চমকে যাবেন সবাই। এমন চিত্র সংগ্রহ করা খুব সহজ নয়। প্রতিটি অসঙ্গতিকে কেন্দ্র করে তোলা স্থিরচিত্রে মডেল হয়েছেন সাঈদ রিমন। ছবিগুলো পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। ফলে ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় ছবিগুলো নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের বিলবোর্ডেও স্থান পেয়েছে রিমনের এমন স্থিরচিত্র।

jagonews24

এমন শত শত স্থিরচিত্রে রিমনকে ছিনতাইকারী, মাস্তান, মলম পার্টি, মাদকাসক্ত, নিরীহ ছাত্র, দরিদ্র কৃষক, সুপারির ব্যাপারি, টাউট-বাটপারসহ বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। তবে তিনি এসব করেন জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য।

jagonews24

ব্যক্তিত্বের বিপরীতমুখী এমন উদ্যোগ সম্পর্কে সাঈদ রিমন জানান, পাঁচ বছর যাবৎ তিনি ফেসবুকে এ কাজ করে যাচ্ছেন। মাদকের মরণ ছোবল থেকে রক্ষা, মলম পার্টির খপ্পর থেকে মুক্তি, ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, জীবনের মূল্য বোঝা, শ্রম অধিকার, শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সচেতনতা বাড়ানোর জন্য তিনি কাজগুলো করে থাকেন। তার ছবি তুলে সহযোগিতা করেন মো. ফয়সাল।

jagonews24

রিমনের এ ছবি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিল বোর্ড তৈরি করেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি বিল বোর্ড নির্মাণ করেছে নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার পুলিশ বিভাগ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে মহৎ উদ্দেশে ব্যবহার করা যায়, রিমন তরুণ প্রজন্মকে তা-ই শেখাচ্ছেন।

jagonews24

এ ব্যাপারে সাঈদ রিমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘একসময় অভিনয়ের প্রতি আসক্তি ছিল। অভিনয়ের ভিডিও বন্ধু রমিজ জাবের টিংকুর সহযোগিতায় বরগুনা শহরের ক্যাবল টিভির মাধ্যমে প্রচার করেছি। তা দেখে স্থানীয়রাও প্রশংসা করেছেন।’

jagonews24

সাঈদ রিমন নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি পেশায় বস্ত্র প্রকৌশলী। ২০০৭ সালে বাবা আ. খালেক মারা যান। মা বরগুনায় স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। মায়ের প্রচেষ্টায় তিনি এতদূর এসেছেন। কর্মস্থলের কারণে ঢাকায় থাকেন রিমন। তার স্থিরচিত্রগুলো দেখা যাবে www.facebook.com/rimon.sayeed অ্যাকাউন্টে।

jagonews24

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।