৩০ বছরে প্রায় দুই হাজার রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২০
ফাইল ছবি

দেশে গত ৩০ বছরে ১ হাজার ৯৭৮ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ১৯৮২ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) তৎকালীন আইপিজিএমআরে দেশের প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় মাত্র ছয়জন রোগীর। ১৯৮২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সারাদেশে মাত্র একটি কেন্দ্রেই কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ ছিল। পরে ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১০টি কেন্দ্র গড়ে ওঠে। বর্তমানে চারটি কেন্দ্রে নিয়মিত কিডনি প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চলছে। কিডনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগী কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুবরণ করলেও তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে সেভাবে চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। প্রতি বছর নতুন করে ১০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয়। কিডনি বিকল হয়ে মৃত ৪০ হাজার রোগীর মধ্যে মাত্র ১ চতুর্থাংশ রোগী কিডনি ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকে।

যেসব রোগীর দুটো কিডনিই বিকল, তাদের ডায়ালাইসিস কিংবা কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বেঁচে থাকতে হয়। কিডনি বিকল রোগীদের প্রতি সপ্তাহে দু-তিনবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। কিডনি বিকল রোগীদেরকে কিডনি প্রতিস্থাপন (ডোনারের দেয়া কিডনি অস্ত্রোপচার) করা হলে তারা সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এতদিন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইনে নানা জটিলতার কারণে কিডনি প্রতিস্থাপন কম হতো। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে নতুন করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আইন প্রণীত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবিত ব্যক্তিদের কিডনি প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি ক্যাডাভেরিক অর্থাৎ ব্রেন ডেথ ঘোষিত মৃত রোগীদের কাছ থেকে কিডনি, হার্ট, লাং, চোখসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে কিডনি রোগীসহ একাধিক রোগীকে নতুন জীবন দান সম্ভব।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সোসাইটি অব অরগ্যান ট্রান্সপ্লানটেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, ব্রেন ডেথ ঘোষিত রোগীদের কাছ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহে উদ্বুদ্ধ করতে আইসিইউ চিকিৎসকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। ব্রেন ডেথ ঘোষিত হওয়ার পর চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনদের কাউন্সিলিং করে অঙ্গপ্রতঙ্গ দানে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট চালু হলে একজন মৃত ব্যক্তির দান করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অনেকেই বেঁচে থাকতে পারেন। রাষ্ট্রীয়ভাবেও মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে উদ্ধুদ্ধ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।