সাত মাসে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ চারজন ও নারী দুইজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৫২ জনে। এর আগে গত ১১ মার্চ করোনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ সাত মাস পর করোনায় মৃত্যু কমে দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৯৩ জন। এ নিয়ে সারাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জনে। এটাই গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্ত। এর আগে গত ১৫ মে রোগী শনাক্ত হয় ২৬৩ জনের। এরপর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আর তিনশ’র নিচে নামেনি।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ৮২৯টি ল্যাবরেটরিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৫৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ২৯৩ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এ নিয়ে মোট এক কোটি ৭৬ হাজার ৮২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকায় তিনজন, চট্টগ্রামে একজন, খুলনায় একজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চার বিভাগে কেউ মারা যাননি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা (কোভিড-১৯) থেকে সেরে উঠেছেন ৪৪২ জন। এ নিয়ে মহামারি থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৩ জনে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এআরএ/এএসএম