একদিনে এক কোটি টিকাদান বিশ্বে দৃষ্টান্ত
একদিনে এক কোটি টিকাদান বিশ্বে একটি উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দশম স্থানে রয়েছে। রাশিয়া ও জার্মানির মতো উন্নত দেশও আমাদের পেছনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় টিকাদানে বাংলাদেশ সফল হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে এক কোটি টিকাদান উপলক্ষে আয়োজিত অনির্ধারিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১২ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ৯৫ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রমের মেয়াদ আরও দুদিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সারাদেশে এক কোটি ডোজ টিকা কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছেন। বিকেল গড়িয়ে গেলেও এখনো অনেকে লাইনে রয়েছেন। টিকা দিতে পারবেন কি না এ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অনেকের মধ্যে। অসংখ্য মানুষের আগ্রহের কারণে টিকার মেয়াদ দুই দিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশে টিকাদান (প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়) কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, টিকার সফলতার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশের জিডিপি মাইনাস হলেও বাংলাদেশের জিডিপি ৬ শতাংশের বেশি। করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। আক্রান্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। মৃত্যু ও সংক্রমণ কমে আসার ক্ষেত্রে টিকার অবদান রয়েছে।
এমইউ/ইএ/জেআইএম