মেডিকাগোর টিকা না নেওয়ার আহ্বান তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর
বাংলাদেশ সরকারকে মেডিকাগোর করোনা টিকা না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কানাডা এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিয়েছে বাংলাদেশকে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে দেশটি মেডিকাগোর টিকা দিতে চাইলে বাংলাদেশের উচিত হবে তা প্রত্যাখ্যান করা। কারণ এ টিকা ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পায়নি ও ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এ টিকা ব্যবহার হবে এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ এর লঙ্ঘন। তাছাড়া একটি মহামারি নিয়ন্ত্রণে আরেকটি মহামারির (তামাক) সঙ্গে আপস করা উচিত নয়।
এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯টি টিকা ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছে যার সঙ্গে তামাক কোম্পানির কোনো সম্পর্ক নেই ও বাংলাদেশ এসব অনুমোদিত টিকাই ব্যবহার করে আসছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উচিত হবে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টিকা সংগ্রহ করা।
আলোচনা সভায় তামাকবিরোধী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, তাবিনাজ, এইড ফাউন্ডেশন, বিএনটিটিপি, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ভয়েস, মানস, প্রজ্ঞা, স্টপ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রিকিডস, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস ও দ্য ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ফিলিপ মরিসের করোনা টিকা নাকচ করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো জানায়, তামাক কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা থাকায় গত ২ মার্চ কানাডিয়ান কোম্পানি মেডিকাগোর তৈরি করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মেডিকাগোর আংশিক মালিকানা ফিলিপ মরিসের ও প্রতিষ্ঠানটি কানাডা সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ টিকা প্রস্তুত করেছে।
এমওএস/একেআর/এমএস