‘অপুষ্টির সমস্যা রোধে সব মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাপানে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত টোকিও নিউট্রিশন ফর গ্রোথ (এন ফর জি) সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২টি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে অপুষ্টির দ্বিগুণ বোঝা মোকাবিলার অঙ্গীকার করেছিলেন। এই প্রতিশ্রুতি পূরণে শুধু একটি মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। সে জন্য দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতীয় পুষ্টি পরিষদ আয়োজিত ‘স্কেলিং আপ নিউট্রিশন (সান) পলিসি ডায়ালগ ২০২২’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অপুষ্টির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১২ প্রতিশ্রুতি হলো:
১. শিশুদের স্টান্টিং সমস্যা হ্রাসকরণ
২. অপচয়ের প্রকোপ হ্রাসকরণ
৩. কম ওজন নিয়ে জন্ম হওয়ার ঘটনা হ্রাসকরণ
৪. পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের মধ্যে শৈশব স্থূলতা বৃদ্ধি না পাওয়া
৫. প্রজনন বয়সী নারীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা হ্রাসকরণ
৬. ৬৪ জেলায় পুষ্টি কর্মকর্তা নিয়োগ
৭. অপুষ্টির ব্যাপকতা রোধ
৮. খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার অভিজ্ঞতা স্কেলের ওপর ভিত্তি করে জনসংখ্যার মধ্যে মাঝারি বা গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপকতা রোধ করা
৯. খাদ্যতালিকাগত শক্তি গ্রহণের জন্য খাদ্য-শস্যের ওপর নির্ভরতা হ্রাসকরণ
১০. পুষ্টি-সম্পর্কিত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির কভারেজ বৃদ্ধিকরণ
১১. মাল্টি-সেক্টরাল পুষ্টি নজরদারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও মূলধারায় নিয়ে আসা
১২. পুষ্টির জন্য আর্থিক বরাদ্দের মাল্টি-সেক্টরাল ট্র্যাকিং শক্তিশালী করা

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ারুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, খাদ্যগ্রহণে পুষ্টির বিষয়ে কারও চিন্তা নেই। এখন শুধু মজা লাগলেই মানুষ খেয়ে থাকে। আগে পরিবার শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিতো যাতে শিশু মেধাবী হয়, শক্তি পায়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় শিশুরা খাচ্ছে শুধু খাওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি যা খাওয়া হয় তা শরীরের কোনো কাজে লাগছে না। এখন অনলাইনে অর্ডার দেয় খাবার বাসায় আসে, আর তারা বসে বসে গেম খেলে আর খায়। আর এসব অবস্থার কারণে স্থূলতা, ফ্যাটিলিভারসহ বিভিন্ন সমস্যা বাড়ছে।

আনোয়ারুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, শুধু কর্মকর্তা নিয়োগ করে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। পুষ্টি সম্পর্কে পরিবারকে সচেতন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিবার সচেতন না হলে বাচ্চারা স্থূল হবে। কমিউনিটি লেভেলে কাজ করতে হবে পুষ্টির জন্য।

শুধু কর্মচারী নিয়োগ করেই লাভ নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, রাষ্ট্রের বড় রাজস্ব ব্যয় চলে যাচ্ছে কর্মচারীদের পেছনে। আমরা যদি সব কর্মচারীর পেছনে ব্যয় করি উন্নয়নের পেছনে কীভাবে খরচ করবো। সেজন্য আমাদের এক্ষেত্রে সঠিকভাবে ম্যানেজমেন্ট করেই কাজ করতে হবে। কীভাবে ভারসাম্য রেখে এগিয়ে যাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুষ্টি সার্ভিসের (এনএনএস) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. এম ইসলাম বুলবুল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম প্রমুখ।

এএএম/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।