চট্টগ্রামের ৮ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশুকে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উপলক্ষে জেলাজুড়ে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ১৫টি উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডের ১৭টি স্থায়ী, ১৫টি ভ্রাম্যমাণ ও চার হাজার ৮০০টি অস্থায়ীসহ মোট চার হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আই.ইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আই.ইউ) খাওয়ানো হবে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ উপলক্ষে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরা পেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে কোনো অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

ডা. ইলিয়াছ বলেন, পরিবারের রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী। মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ খাবার খেতে দিতে হবে। শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের বুকের শাল দুধ পান করাতে হবে এবং ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেওয়া যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না যায় সেদিকে সবাইকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। সবার আন্তরিক সহযোগিতা পেলে এ কর্মসূচি সফল হবে। পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান।

ইকবাল হোসেন/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।