প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ‘পিচ-টু-ফর্ক’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৫ এএম, ১৯ মে ২০২৪

বিশ্বের দ্রুততম-ক্রমবর্ধমান অঞ্চল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণেও নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রোটিন ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের ‍উদ্যোক্তাদের (স্টার্টআপ) ব্যবসা প্রসারের অনন্য সুযোগ দিচ্ছে পিচ-টু-ফর্ক প্ল্যাটফর্ম।

সম্প্রতি দুবাইয়ে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের (ইউএসএসইসি) তত্ত্বাবধানে ‘রাইট টু প্রোটিন’ তাদের দ্বিতীয় ‘পিচ টু ফর্ক’ ইভেন্টের আয়োজন করে।

পিচ-টু-ফর্ক এর প্রভাব বিষয়ে ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার (এসএএএসএসএ) রিজিওনাল ডিরেক্টর কেভিন রেপকি বলেন, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে নেটওয়ার্কিং সুবিধার প্রয়োজন তা নিশ্চিত করছে পিচ-টু-ফ্রক, যা উদ্ভাবনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের কল্যাণে বিনিয়োগ ও প্রোটিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে আমরা আগামীর জন্য পুষ্টি-সুরক্ষিত পথ তৈরিতে কাজ করছি।

jagonews24

‘পিচ টু ফর্ক’-এ বাংলাদেশের এগ্রি-টেক সেক্টর থেকে অংশ নেয় ‘উই-গ্রো’। প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘উই-গ্রো কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, সরঞ্জাম ব্যবহার ও বাজার তৈরিতে সাহায্য করছে। ‘পিচ টু ফর্ক’ ভবিষ্যতে প্রোটিন ঘাটতি মোকাবিলায় উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসছে, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।’

২০২২ সালে পিচ-টু-ফর্কের শিরোপা জেতে বাংলাদেশের এগ্রিটেক স্টার্টআপ ‘অ্যাগ্রোশিফট’। ‌‘অ্যাগ্রোশিফট’ একটি সর্বক্ষণিক কৃষি সাপ্লাই চেইন বা কৃষি-সরবরাহ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। তারা ন্যায্য দামে কৃষকদের পণ্য ব্যবসায়ী বা সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি এবং তাদের অনন্য ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্যের মান, সহজলভ্যতা ও গ্রাহকসন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করে।

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘টেম্পে’ নতুন আঙ্গিকে উৎপাদন করে পিচ-টু-ফর্ক ২০২৪-এ প্রোটিন স্টার্ট-আপ অব দ্য ইয়ারের শিরোপা জিতেছে ভারতীয় স্টার্টআপ ‘হ্যালো টেমপে’। প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ মালভিকা সিদ্ধার্থ বলেন, একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে প্রতিনিয়তই আমি বিভিন্ন মানুষের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির প্রভাব লক্ষ্য করি। এ সমস্যার সমাধান করতেই আমরা ‘হ্যালো টেমপে’ প্রতিষ্ঠা করেছি।

পাকিস্তানের পোলট্রি সেক্টর থেকে অংশ নেয় ‘পোলটা’। এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের জিএম খুশবাখত আশরাফ বলেন, প্রোটিন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য ভবিষ্যত অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পেরে আমি আনন্দিত।’’

পিচ-টু-ফর্কের বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ‘ইউএসএসইসি’র ভাইস চেয়ারপারসন জানা ফ্রিটজ; এগ্রিটেকচার’র ফাউন্ডার ও সিইও হেনরি গোরডোন-স্মিথ; ইভল্ভড ফুডস-এর ফাউন্ডার ও সিওও রমা রায় চৌধুরী; ইউএস সয় সাস্টেইনেবিলিটি’র রিজিওনাল হেড ও ইউএসএসইসি-এসএএএসএসএ এর মার্কেটিং হেড ডিভা জিয়ানোলিস এবং ভেলোরা এডাভাইসর-এর ফাউন্ডার রোবার্তো ফিতো।

এএএম/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।