ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা একসময় ছিল ৩৫ হাজারের ওপর। কিন্তু এবার ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করার পর স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য বাফুফে অনলাইনে টিকিট ছেড়েছে মাত্র ১৮ হাজার ৩০০।
Advertisement
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা এই ম্যাচ দেখার জন্য এত বেশি আগ্রহী যে, অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এত বেশি হিট হলো যে, সাইটই হ্যাং হয়ে গেলো। টিকিট সোল্ড আউট দেখাতে শুরু করে। একটা সময় তো সাইবার অ্যাটাকও হয় টিকিটের দাবিতে।
এত বেশি মানুষের আগ্রহ এই ম্যাচটি ঘিরে; কিন্তু স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবে কেবল ২০ থেকে ২২ হাজার মানুষ। বাকিরা? তাদের খেলা দেখার জন্য কী বিশেষ কোনো ব্যবস্থা আছে?
হ্যাঁ, বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষের জন্য হামজা-শামিতদের ম্যাচ দেখার জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ম্যাচের ব্রডকাস্টিং চ্যানেল টি স্পোর্টস জানিয়েছে, দেশে আটটি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহের জেলা পরিষদ চত্বর, রংপুরের জেলা পরিষদ চত্বর, রাজশাহীর নানকিং বাজার, সিলেটের জিরো পয়েন্ট, খুলনার শিববাড়ি মোড় এবং বরিশালের বেল’স পার্ক। এসব স্থানে বড় পর্দায় হামজা-শামিতদের খেলা দেখা যাবে বিনামূল্যে।
Advertisement
শুধু টি-স্পোর্টসই নয়, রাজধানী ঢাকার রূপনগর-পল্লবী এলাকায় ১২টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
এ স্থানগুলো হলো- ঘরোয়া মোড়, দুয়ারিপাড়া মোড়, দোরেন মোড়, ট-ব্লক মোড়, পার্ক কলোনি মোড়, মধ্য রাস্তা মোড় (সেকশন-৭, উত্তর সাইড), শহীদ আসিফ চত্বর (ধানসিঁড়ি স্কুল মোড়), মুসলিম বাজার ঈদগাহ মাঠ, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ (ই ব্লক মোড়), লালমাটিয়া স্ট্যান্ড (বাউনিয়াবাদ, মিরপুর-১১ মোড়), আলুবদি পুরাতন স্ট্যান্ড-আমতলা, বায়তুল আমান জামে মসজিদ মোড় (১১/সি, পল্লবী)।
আইএইচএস/
Advertisement