মুহাম্মদ নূরে আলম
Advertisement
কলা দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য একটি ফল। কলা সব জায়গায়। প্রাচীন বনজ ফল থেকে আজকের মিষ্টি, বীজহীন কলার এই রূপান্তর যেন অবাক করা। এটি শুধু একটি খাদ্য নয়। এটি প্রকৃতি ও মানুষের সমন্বিত শ্রমের ফল। কলার পেছনে লুকিয়ে আছে হাজার বছরের ইতিহাস। গবেষকরা বলছেন, এ ফলের উন্নয়ন মানবসভ্যতার কৃষি বিজ্ঞানের একটি মাইলফলক। প্রাচীন কৃষকদের হাত ধরে কলা আজ এ পর্যায়ে এসেছে।
কীভাবে এ ফল আবিষ্কার হয়? কারা এটি গড়ে তুলেছেন? কেন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠল? কলার উৎপত্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। সেখান থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। প্রাচীন কৃষকেরা বীজহীন, মিষ্টি কলা বেছে নিয়ে কায়িক প্রজননের মাধ্যমে এর উন্নতি করেন। এ ফল শুধু খাদ্যই নয়, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচারেও গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই কলার এ আকর্ষণীয় ইতিহাস।
উৎপত্তির ইতিহাসকলার ইতিহাস একটি আকর্ষণীয় গল্প। এ ফলের উৎস হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গবেষকরা বলছেন, কলা প্রথম পাওয়া যায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও নতুন গিনি অঞ্চলে। প্রায় ৭ হাজার বছর আগে মানুষ ফলটির সঙ্গে পরিচিত হয়। তখন এটি বনজ অবস্থায় ছিল। Musa acuminata ও Musa balbisiana—এই দুটি বন্য প্রজাতি কলার মূল ভিত্তি। এ দুটি প্রজাতির শংকরণ থেকে আধুনিক কলা জন্ম নেয়। প্রাচীন কৃষকেরা এ ফলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন। তারা দেখেন, কিছু কলায় বীজ কম থাকে। কিছুর স্বাদ মিষ্টি। এ গুণাবলি তাদের আকর্ষণ করে।
Advertisement
প্রাথমিক কলা ছোট ছিল। এটি শক্ত ছিল। বড় বড় বীজ থাকতো। খাওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু কৃষকেরা ধৈর্য ধরে কাজ করেন। তারা বীজহীন গাছ বেছে নেন। কায়িক প্রজননের মাধ্যমে নতুন গাছ তৈরি করেন। ধীরে ধীরে এ প্রক্রিয়ায় বীজহীন, মসৃণ ও মিষ্টি কলা তৈরি হয়। এটি খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। গবেষকরা মনে করেন, এ পরিবর্তন মানুষের বুদ্ধি ও প্রকৃতির সমন্বয়ের ফল।
আর্কিওলজিস্টরা ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন কৃষি অঞ্চল থেকে কলার চাষের চিহ্ন পেয়েছেন। প্রায় ৩ হাজার বছর আগে এ ফল জনপ্রিয় হয়। তখন থেকে কলা মানুষের জীবনে জড়িয়ে পড়ে। এটি শুধু খাদ্য ছিল না। এটি সংস্কৃতি ও জীবনযাপনে গুরুত্ব পায়। প্রাচীন কৃষকদের এ চেষ্টা আজকের কলাকে গড়ে তুলেছে। তাদের পরিশ্রম ছিল এ ফলের ভিত্তি। এ ভূমিকা থেকে শুরু করে কলার উন্নয়নের গল্প আরও গভীর।
কে আবিষ্কার করলেন?কলা একটি ফল, যা মানবসভ্যতার কৃষি ইতিহাসে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। এটি কোনো একজন আবিষ্কারকের মাথার উদ্ভাবন নয়। বরং এটি হাজার হাজার প্রাচীন কৃষকের পরিশ্রমের ফল। প্রাচীনকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশের কৃষকেরা কলার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তারা লক্ষ্য করেন, কিছু কলা গাছ বীজহীন। কিছুর স্বাদ মিষ্টি। এ বৈশিষ্ট্য সুনির্দিষ্ট করে তুলতে তারা কাটা থেকে নতুন গাছ লাগান। এভাবে কায়িক প্রজননের মাধ্যমে কলা ধীরে ধীরে উন্নত হয়। এ প্রক্রিয়া শতাব্দী অতিক্রম করে চলেছে।
প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে কলার উল্লেখ পাওয়া যায়। বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মে এটি পবিত্র ফল হিসেবে গণ্য হতো। পূজা-অর্চনায় কলা অফার করা হতো। এটি সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে ওঠে। ১৪০০ সালে চীনের বিখ্যাত ভ্রমণকারী ইবনে বতুতা তার ভ্রমণবৃত্তান্তে কলার কথা উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, মালদ্বীপে কলা উৎপাদন ছিল অপ্রতুল। স্থানীয়রা এটি ব্যাপকভাবে চাষ করতেন। এ ফল তখন তাদের জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
Advertisement
ইউরোপীয়রা কলার সঙ্গে পরিচিত হন ১৫০০ সালে। পর্তুগিজ নাবিকরা এ ফল আনেন আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। তাদের ব্যবসায়িক সাহসিকতার ফলে কলা বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮শ শতাব্দীতে ব্রিটিশ কোম্পানি কলার ব্যবসা শুরু করেন। এর ফলে এটি গ্লোবাল ফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ কলা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে পৌঁছেছে। এর পেছনে প্রাচীন কৃষকদের অপরিমেয় অবদান রয়েছে। কলার এ যাত্রা শুধু কৃষি নয়। এটি সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও খাদ্যের ইতিহাসের একটি অধ্যায়। প্রাচীন কৃষকেরা তাদের জ্ঞান ও পরিশ্রম দিয়ে কলাকে আজকের রূপে তুলে ধরেছেন। তাদের চেষ্টা ছিল জীবন ধারণের জন্য। কিন্তু হয়েছে বিশ্বজুড়ে প্রিয় ফল।
কেন আবিষ্কার হলো?কলা আবিষ্কারের পেছনে ছিল মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন। প্রাচীনকালে খাদ্যসম্পদ ছিল খুবই সীমিত। তখন মানুষ খুঁজতো এমন ফল, যা সহজে পাওয়া যায়। কলা এমনই একটি ফল। এটি দ্রুত বেড়ে ওঠে। চাষ করা সহজ। পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬ আর সি। এটি শরীরের জন্য উপকারী। তাই প্রাচীন কৃষকেরা কলাকে বেছে নেন। তারা এটি চাষ শুরু করেন। এভাবে কলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কিন্তু কলা শুধু খাদ্য নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সংস্কৃতি। বাংলাদেশে কলার ব্যবহার বহুমুখী। ধর্মীয় আচারে কলা গুরুত্বপূর্ণ। পূজায় কলা দেওয়া হয়। কলাপাতায় খাবার পরিবেশনের রীতি আছে। কাঁচা কলা দিয়ে রান্না হয় সুস্বাদু খাবার। কলার ফুল ওষুধ হিসেবে জনপ্রিয়। এটি পেটের সমস্যায় কাজে লাগে। এসব কারণে কলা আমাদের জীবনে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছে। কলা এখন শুধু ফল নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার একটি অংশ।
কলার জাত ও শ্রেণিবিন্যাসকলার অনেক জাত আছে। গবেষকরা এটিকে দুই প্রজাতিতে ভাগ করেন। Musa acuminata আর Musa balbisiana। এদের মধ্যে শংকরণ থেকে ৫০০টির বেশি জাত তৈরি হয়েছে। প্রধান জাতগুলো হলো—
আরও পড়ুন কলা চাষে সারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লবণাক্ত জমিতে যেসব ফসল চাষ করবেনক্যাভেনডিশ: আজকের জনপ্রিয় জাত। বীজহীন। মিষ্টি।গ্রোস মিশেল: ১৯৫০-এর আগে জনপ্রিয়। এখন প্রায় লুপ্ত।প্ল্যান্টেইন: কাঁচা খাওয়া যায়। রান্নায় ব্যবহৃত।রেড বানানা: লাল রঙের। স্বাদ আলাদা।
কলা ট্রিপ্লয়েড। তিনটি জেনেটিক কপি থাকে। এ কারণে বীজ হয় না। ক্লোনিং দিয়ে চাষ হয়। এ কারণে বীজ উৎপন্ন হয় না। কলার চাষ হয় ক্লোনিং বা ভেজেটেটিভ প্রপাগেশনের মাধ্যমে। এ বৈশিষ্ট্য কলাকে খাওয়ার উপযোগী করেছে। তবে রোগের প্রতি দুর্বলও করেছে।
জিনগত পরিবর্তন ও রোগকলার জিনগত পরিবর্তন পুরোপুরি মানুষের হাতে। প্রাচীন কৃষকেরা বন্য কলা থেকে শুরু করেন। তারা বীজহীন জাত বেছে নেন। এ প্রক্রিয়ায় কলা মিষ্টি হয়। নরম হয়। খাওয়ার উপযোগী হয়। কিন্তু এটি একটি ঝুঁকি নিয়ে আসে। বীজহীন কলা রোগের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে কলার জাতগুলো বিপদে পড়ে। ১৯৫০-এর দশকে প্যানামা রোগ (Fusarium wilt) গ্রোস মিশেল জাতকে ধ্বংস করে দেয়। এটি তখন বিশ্বের জনপ্রিয় কলা ছিল। এরপর ক্যাভেনডিশ জাত এগিয়ে আসে। এটি কিছুটা রোগপ্রতিরোধী ছিল। কিন্তু এখন ক্যাভেনডিশও নতুন রূপের প্যানামা রোগ টিআর৪-এর কাছে হার মানছে। এটি কলা উৎপাদনের জন্য বড় হুমকি। গবেষকরা সমাধান খুঁজছেন। তারা জিন প্রকৌশলের দিকে ঝুঁকছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা টিআর৪ প্রতিরোধী কলা তৈরি করছেন। এ প্রচেষ্টা সফল হলে কলার ভবিষ্যৎ রক্ষা পাবে। তবে এটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে। কলার জন্য এ লড়াই এখনো চলছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কলাবাংলাদেশে কলা উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খাত। এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। প্রতি বছর লাখ লাখ টন কলা উৎপাদিত হয়। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানের মতো এলাকায় কলার চাষ বেশি হয়। এসব অঞ্চলের উর্বর মাটি আর উপযুক্ত আবহাওয়া কলা চাষের জন্য আদর্শ। গ্রামের কৃষকেরা কলা চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। এটি তাদের আয়ের একটি বড় উৎস। কলা শুধু ফল নয়, এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
কলার চাহিদা সারাবছর থাকে। বাজারে এটি সহজে বিক্রি হয়। কাঁচা কলা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। পাকা কলা সরাসরি খাওয়া যায়। কলার পাতা, কাণ্ড, ফুল—সবকিছুই কাজে লাগে। এ কারণে কৃষকদের মধ্যে কলা চাষ জনপ্রিয়। গ্রামে অনেক পরিবার কলা বিক্রি করে সংসার চালায়। এটি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।
কিন্তু কলা চাষে বড় সমস্যা হলো রোগ। প্যানামা রোগ, ব্ল্যাক সিগাটোকা, বানানা বাঞ্চি টপ ভাইরাসের মতো রোগ কলা গাছ নষ্ট করে। এতে কৃষকেরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হন। ফলন কমে যায়। অনেক সময় পুরো ফসল হারিয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধে কৃষকদের জ্ঞান ও সরঞ্জামের অভাব। তারা ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারেন না। ফলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ এখন জরুরি। কৃষি বিভাগকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। রোগ প্রতিরোধী কলার জাত সরবরাহ করতে হবে। কীটনাশক ও সারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি কৃষকদের হাতে পৌঁছাতে হবে। এতে কলা উৎপাদন বাড়বে। কৃষকদের ক্ষতি কমবে। কলা চাষের সম্ভাবনা অনেক। সঠিক পদক্ষেপ নিলে এটি দেশের অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখবে। কৃষকদের জীবন আরও সহজ হবে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়কলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ চিন্তার শেষ নেই। এ ফল এখন ঝুঁকির মুখে। রোগের কারণে কলার উৎপাদন কমছে। বিশেষ করে টিআর৪ প্যানামা রোগ বড় হুমকি। এটি ক্যাভেনডিশ জাতকে ধ্বংস করছে। গবেষকরা বলছেন, সমাধান না পেলে কলা হারিয়ে যেতে পারে। তাই রোগ প্রতিরোধী জাত তৈরি করা জরুরি। এটি এখন সময়ের দাবি। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। তারা আশাবাদী যে, সমাধান পাওয়া যাবে। জিন ইঞ্জিনিয়ারিং এখানে বড় ভূমিকা রাখছে। এ প্রযুক্তি দিয়ে নতুন জাত তৈরি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় এরই মধ্যে সফলতা পাওয়া গেছে। সেখানে টিআর৪ প্রতিরোধী কলার পরীক্ষা চলছে। এটি কৃষকদের জন্য আশার আলো। তবে এটি সব দেশে পৌঁছাতে সময় লাগবে। এর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সরকারের সহযোগিতা দরকার। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ সমস্যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়।
মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কলা এখন বিশ্বে জনপ্রিয়। এটি সহজলভ্য ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এর উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। কিন্তু রোগের কারণে উৎপাদন কমছে। কৃষকেরা হতাশ হচ্ছেন। তাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। এটি গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য হুমকি। বাংলাদেশেও এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, সিলেটের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা দরকার। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে উৎপাদন বাড়বে। কৃষকেরা লাভবান হবেন।
সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। কলার ওপর নির্ভরশীলতা কতটা। রোগের কারণে এটি হারানোর ঝুঁকি আছে। এটি জানলে মানুষ সতর্ক হবে। তারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। সরকার তখন ব্যবস্থা নেবে। কৃষকদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়াতে হবে। তারা যেন রোগের লক্ষণ চিনতে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে ক্ষতি কমবে। গবেষকদের সঙ্গে কৃষকদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এতে নতুন প্রযুক্তি দ্রুত পৌঁছাবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে কলা বাঁচানো সম্ভব।
কলা শুধু একটি ফল নয়। এটি আমাদের জীবনের অংশ। এটি হারালে আমরা অনেক কিছু হারাবো। তাই এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কলা রক্ষা করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
এসইউ/জিকেএস