রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
সিরিয়ার মরুভূমিতে হাজারো মানুষকে গণকবর দেওয়ার তথ্য প্রকাশ
সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী আন্দোলনে মৃত্যু হওয়া হাজার হাজার মানুষকে গণকবর দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ‘অপারেশন মুভ আর্থ’ নামে গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষকে গোপনে গণকবর দেওয়া হয়ছে। গোপন এ কার্যক্রম ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য মতে, প্রথম গণকবর ছিল কুতাইফাহ শহরের আশেপাশে। সেখানে বন্দি, যুদ্ধ বা জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন নিহতদের মরদেহ কবর দেওয়া হয়েছিল। এরপর সে গণকবরের মাটি ও দেহাবশেষ বাশার আল আসাদের নির্দেশে দুমায়ার মরুভূমির একটি সামরিক স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়। দুমায়ারের গণকবরটি অন্তত ৩৪টি খুঁটি সহ ২ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেখানে প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ সমাহিত থাকতে পারে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার দিন রাতের বেলায় ৬ থেকে ৮টি ট্রাক মৃতদেহ বহণ, মাটি খোড়া ও কবর দেওয়ার কাজ করত।
জানা গেছে, এসব কাজে সংযুক্ত থাকা সকল কর্মীকে মুখ না খোলার শপথ পড়ানো হয়। এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করতেন কলোনেল মাজেন ইসমানদার। এসব গণকবর স্থানান্তরের উদ্দেশ্য ছিল প্রথম গণকবরটি ঢেকে ফেলা এবং হত্যার প্রমাণ লোপ করা। তবে ফরেনসিক প্রমাণ, শতাধিক স্যাটেলাইট ইমেজ, ড্রোন ও গ্রাউন্ড ফটোগ্রাফি ব্যবহার করে স্থানান্তরের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফরেনসিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে, কুতাইফাহর মাটি দুমায়ারে মিশানো হয়েছে।
সিরিয়ায় গত কয়েক দশকে প্রায় ১,৬০,০০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। এই ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অন্যতম উদাহরণ।
কেএম