নারীদের হারানো যৌনাকাঙ্ক্ষা ফেরত পাওয়ার ওষুধ আনলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯

নারীলাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত একটি ওষুধ বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভাইলিসি (Vyleesi) নামের এই ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দেয়ার মাধ্যমে দেশটিতে নারীদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় ওষুধ বাজারে আসছে।

শুক্রবার মার্কিন ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ পালাটিন টেকনোলজিস ও আমাগ ফার্মাসিউটিক্যালস নারীদের যৌনবাসনা পুনরুদ্ধারের এই ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দেয়। মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদিত এই ওষুধকে অনেকেই নারী ভায়াগ্রা হিসেবে বলছে।

তবে এর আগে এই ওষুধ বাজারে আনার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীদের মধ্যে যৌন বাসনা হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের জন্য এই ওষুধ অনেক নিরাপদ এবং কার্যকর। দেশটিতে বছরে এই ওষুধ বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে এক বিলিয়ন ডলারে।

ওষুধ বিক্রির অনুমোদন পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে পালাটিন এবং আমাগের শেয়ারে বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। পালাটিনের শেয়ার ৪৪ এবং আমাগের শেয়ারের দাম সাড়ে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এফডিএ বলছে, শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে কমপক্ষে ৪৫ মিনিট আগে ভাইলিসি ওষুধ সেবন করতে পারবেন নারীরা। অটো-ইনজেকটর পেনের মাধ্যমে উরু বা তলপেটে নিতে হবে এই ওষুধ। এটি নেয়ার পর যে নারীদের শারীরিক সম্পর্কে অনীহা কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন তারা পুনরুজ্জীবিত হবেন।

দেশটির একটি মেডিক্যালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. জুলি ক্রোপ বলেন, যৌনাকাঙ্ক্ষা হারানো রোগীদের জন্য দ্বিতীয় অপশন পেয়ে আমরা খুশি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির চিকিৎসায় ওষুধ বাজারে আনার জন্য মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের ওপর চাপ ছিল। দেশটিতে পুরুষদের জন্য এই ওষুধ দুই দশক আগেই বাজারে এলেও নারীদের জন্য এ ধরনের কোনো ওষুধ ছিল না।

যদিও নারীদের যৌনাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে অ্যাডি (Addyi) নামের একটি পিল বাজারে আনা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয় দেশটিতে। নতুন এই ওষুধ আগামী সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।