করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা দিল সুপার কম্পিউটার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০

এবার মানবদেহের কোষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর রাসায়নিকের ধারণা দিয়েছে সুপার কম্পিউটার। কম্পিউটারটি করোনাভাইরাসসহ প্রাণঘাতী ভাইরাস রোধে এ রাসায়নিকের খোঁজ নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ সুপার কম্পিউটার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর রাসায়নিক যৌগের সন্ধানে কয়েক হাজার সিম্যুলেশন চালিয়েছিল।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপটির চেয়ে ১০ লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী এই সুপার কম্পিউটার।

এ বিষয়ে ৭৭টি যৌগ চিহ্নিত করেছে সুপার কম্পিউটার সামিট। কার্যকারিতার দিক থেকে ৭৭টি যৌগের একটি ক্রম তৈরি করে ফেলেছে এ সুপার কম্পিউটার। ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা এই তথ্য দিয়েছেন।

গবেষকরা বলেছেন, ভাইরাস কোষগুলোকে আক্রমণ করে তাদের স্পাইক দিয়ে। এটি একটি জিন গঠিত বস্তু। একে স্পাইক প্রোটিনও বলে। সামিটের কাজ ছিল, এমন একটি রাসায়নিক যৌগ খুঁজে বের করা যেটি এই স্পাইকের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে এবং কোষে ভাইরাসের বিস্তার আটকে দেবে। সুপার কম্পিউটার ৮ হাজারের বেশি যৌগের সিম্যুলেশন করেছে এই কাজ করতে গিয়ে। তার মধ্যে ৭৭টি যৌগকে বেছে নিয়েছে সামিট।

সেই গবেষণাগারের পরিচালক জেরেমি স্মিথ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের চিকিৎসা পেয়ে গেছি, এমন কিন্তু নয়। তবে এই ৭৭টি যৌগ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজে লাগবে বলে আশা করছি আমরা। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ করতেও এই তথ্য কার্যকর হবে।’ প্রসঙ্গত, সামিট সুপার কম্পিউটারটি ২০১৪ সালে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজতে এই সুপার কম্পিউটারের সিম্যুলেশন ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ১৬০টিরও বেশি দেশে সংক্রমণ করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এ ভাইরাসে। আর প্রাণহানি হয়েছে ১০ হাজার ৬৪ জনের।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর প্রাণহানি হয়েছে ১ জনের। আর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে বিশ্বের খ্যাতিমান ডাক্তাররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকদূর এগিয়েছেন চীন, জাপান ও আমেরিকার ডাক্তাররা।

এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।