রমজানে শহর থেকে গ্রামে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ইন্দোনেশিয়ায়
রমজানে শহর থেকে গ্রামে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, রমজান মাসের শেষে ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা গণহারে যেভাবে শহর থেকে গ্রামে যান সেটা এবার বাতিল হচ্ছে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকার এই ঘোষণা দিতে দেরি করে ফেলেছে। কারণ এর আগেই প্রায় ১০ লাখ মানুষ জাকার্তা ছেড়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করে। সেখানে এটা ভাবা অসম্ভব যে কেউ ঈদে বাড়ি না গিয়ে শহরেই থাকবেন।
তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার সব ধরণের সামাজিক জমায়েতও নিষিদ্ধ করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬০। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৯০ জন এবং ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৪৭ জন।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। সে কারণে লোকজনকে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশেই কঠোরভাবে এই নিয়মগুলো পালন করা হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না যায় সেজন্য বার বার এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয় ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আজান দেওয়া হলেও এখন আর দলে দলে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যেতে পারছেন না।
এবারের রমজানে তারাবি নামাজও ঘরে পরার নির্দেশনা দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। মসুল্লিদের কাছে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাবার ও পানাহার থেকে বিরত থাকেন।
প্রতিবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে এক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে এমন চিত্র খুব একটা চোখে পড়বে না।
সম্প্রতি সৌদির কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের শীর্ষ ধর্মীয় নেতারা রমজানে বিশ্বের মুসল্লিদের ঘরে বসেই নামাজ আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, মুসল্লিদের জনসমাগম এড়িয়ে চলবে হবে। কারণ এটাই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সবার এটা মনে রাখা উচিত যে, মানুষের জীবন হেফাজতে রাখা একটি মহৎ কাজ। এর মাধ্যমে স্রষ্টার সান্নিধ্য অর্জন করা সম্ভব।
টিটিএন/এমকেএইচ