করোনা চিকিৎসা সেবার দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে নিহত ৯
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর একটি কারাগারে উন্নত স্যানিটারি ব্যবস্থা এবং করোনা চিকিৎসা সেবার দাবিতে বিক্ষোভরত বন্দিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারের ভেতরের এই সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
দেশটির কারাগার সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পেনিটেনশিয়ারি ইনস্টিটিউট বলছে, স্যান জুয়ান দে লুরিগ্যানচো জেলার মিগুয়েল ক্যাস্ত্রো কারাগারে সোমবার সকাল থেকেই মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বন্দিরা। এ সময় বিক্ষোভে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারাগারের প্রাচীরে উঠে পুলিশকে লক্ষ্য পাথর এবং অন্যান্য ভারী বস্তু নিক্ষেপ করে। কয়েকদিন আগে এই কারাগারের দুই বন্দি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দিরা বিক্ষোভের সময় প্রাচীর বেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। কারাবন্দিদের এই বিক্ষোভ পরের দিন পর্যন্ত গড়ায়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত ২০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৯ বন্দির প্রাণহানি ঘটে।
এর আগে, গত সপ্তাহে পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কারাবন্দিদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমা ঘোষণা করেন। কারাগারের ধারণক্ষমতার তুলনায় দ্বিগুণ বন্দি রয়েছে এমন কারাগারের বন্দিরা মুক্তি পাবেন বলেন জানানো হয়।
ন্যাশনাল পেনিটেনশিয়ারি ইনস্টিটিউট বলছে, পেরুর বিভিন্ন কারাগারে এখন পর্যন্ত ৬০৯ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসাবে পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১১৩ জনই কারাগারের কর্মী। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জন বন্দি মারা গেছেন।
পেরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; যা ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৭৮২ জন।
এসআইএস/এমকেএইচ