করোনায় মৃত্যুতে ইতালিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন
যুক্তরাজ্যে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৬২১ রোগী মারা গেছে। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ১৩১। আর এর মাধ্যমে করোনায় বিপর্যস্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছে দেশটি। ব্রিটিশ সরকারের করোনা নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত একদিনে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৮০৬ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে করোনা পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে আরও অনেক রোগী শনাক্ত হচ্ছে না বলে সরকারের সমালোচনা চলছে।
করোনা নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির কমিউনিটি বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক আজ এসব তথ্য জানান। প্রকাশিত তালিকায় গোটা দেশে মোট মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এতদিন ব্রিটিশ সরকার শুধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতদের হিসাব জানাচ্ছিল তবে সম্প্রতি এই তালিকায় সব মৃত্যুর সংখ্যা যুক্ত হয়।
করোনা এখন সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে; ৬৫ হাজার ১৭৩ জন। এরপরই ২৮ হাজার ২৩৬ মৃত্যু নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। তবে বর্তমানে ২৮ হাজার ১৩১ মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য শিগগিরই ইতালিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই অনেকটা কমেছে।
ব্রিটিশ সরকার প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান তুলে ধরছে না, বিশেষ হাসপাতালে কতজন কিংবা কেয়ার হোমগুলোতে কতজন করোনা রোগী মারা যাচ্ছে তা পৃথকভাবে বলা হচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গত একদিনে মোট মৃত্যুর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৭০ জন।
হাসপাতালে যেসব কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন তাদের বয়স ৩৮ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। মন্ত্রী জেনরিক জানিয়েছেন, শুক্রবার ১ লাখ ৫ হাজার ৯৩৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত মানুষের পরীক্ষা করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পর দিনে ১ লাখ করোনা পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসএ