যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পার্টি!

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ০৭ মে ২০২০

অডিও শুনুন

যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমতো পার্টি দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে উৎপত্তি হলেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির সিয়াটোলের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ওয়াল্লা ওয়াল্লা কাউন্টিতে প্রায় ১০০ জনের মতো করোনা রোগী পাওয়া গেছে।

যাদের মধ্যে অনেকেই পার্টির আয়োজন করে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। সুস্থ মানুষকে ভাইরাসে আক্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য বলে করোনা আক্রান্ত রোগীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ওয়াল্লা ওয়ালা কমিউনিটের স্বাস্থ্য পরিচালক মেঘান ডিবোল্ট বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই পার্টির আয়োজন করে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছেন। আমরা জানি না কি হচ্ছে। আমরা রোগীদের কাছ থেকেই এমনটি শুনেছি’।

এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পার্টির খবর প্রকাশিত হয়েছিল। গত মার্চে দেশটির ক্যান্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার জানিয়েছিলেন যে এক ব্যক্তি করোনা পার্টিতে অংশ নিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যে এই পার্টির বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছেন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জন ওয়াইজম্যান একটি বিবৃতিতে বলেন, এই ভাইরাসের বিষয়ে এখনো আমরা অনেক কিছুই জানি না। এই মহামারির সময়ে দলবদ্ধ হওয়া মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় গঠিত হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্স বন্ধ করে লকডাউন তুলে নিতে চাইছেন ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টাস্কফোর্স ভেঙে দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের বেশি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছে এবং ১০০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে বলা হয়েছে, লকডাউন তুলে দেওয়া হলে জুনে দিনে অন্তত তিন হাজার করে মানুষ মারা যাবে। সেই হিসাবে কেবল জুন মাসেই মারা যাবে ৯০ হাজার মার্কিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৭৩ হাজার ৯৫ জন।

এমআরএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।