চীনের করোনা ভ্যাকসিনের ৯০% ইতিবাচক ফল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ পিএম, ১৫ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ হচ্ছে। এগুলোর কয়েকটির ফল আশাব্যঞ্জক। এরমধ্যে রয়েছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের একটি। কোম্পানিটি দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং পরীক্ষায় এর ৯০ শতাংশ ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।

চীনে চালানো প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ফল পর্যালোচনা করে এমন দাবি করছে তারা। ট্রায়ালে প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া অর্জনে সক্ষমতা দেখানোর ফলে আশা করা যাচ্ছে, বেইজিংভিত্তিক ওই কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনটি করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে কার্যকর হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার সিনোভ্যাক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ফলাফল জানিয়ে বলেছে, করোনাভ্যাক নামে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরের ১৪ দিনের মাথায় নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে।

মানবদেহে পরীক্ষায় চীনে চালানো প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৭৪৩ জন সুস্থ মানুষকে দুই ধাপে ভ্যাকসিন ও প্লাসেবো (ভিন্ন ওষুধ) দেওয়া হয়। গতকাল প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে।

তাদের দাবি, মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিনটির দুইটি ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে দুটিতেই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। শিগগিরই একাডেমিক জার্নালে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে তারা। একাডেমিক জার্নালে ফল প্রকাশিত ও পিয়ার রিভিউ হওয়ার পর এটি সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে মারাত্মক বিরূপ প্রভাবের ঘটনা ঘটেনি। করোনার একটি মৃত সংস্করণ ব্যবহার করে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনটি তৈরি হচ্ছে। চীনে তৈরি যে পাঁচটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে, সিনোভ্যাকের তৈরি এই ভ্যাকসিনটি এর মধ্যে অন্যতম।

সিনোভ্যাকের গবেষক লুও বৈশানের কাছে এর আগে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভ্যাকসিনটি সাফল্যের বিষয়ে তিনি কতটা আশাবাদী? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই সফল হবে। ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত।’ সিনোভ্যাক ১০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে একটি বাণিজ্যিক প্ল্যান্ট তৈরি করছে। 

সিনোভ্যাক ইতোমধ্যে ব্রাজিলের বায়োটেক কোম্পানি ইনস্টিটিউটো বুটানটানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ফলে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ব্রাজিলে ২ হাজার মানুষের দেহে পরীক্ষা করা দেখা এর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হবে।

ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটিরও সেখানে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক মডার্না তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৪২ হাজার মানুষের দেহে পুশ হচ্ছে

করোনা ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষার ঘোষণা দিলো মডার্না

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে ৪ দেশের সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকার চুক্তি

যৌথভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে ব্রাজিল-চীন

কয়েকটি ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ‘খুব নিশ্চিত’ ব্রিটিশ বিজ্ঞানী

এসএ

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।