যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই বৃদ্ধাশ্রমে
মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে শীর্ষ সংক্রমিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত সেখানে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটেছে। দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির জাতীয় গড়ের চেয়ে বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে মৃত্যুহার অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশই ঘটেছে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে।
নিউইয়র্ক টাইমস এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, বৃদ্ধাশ্রমগুলোর (নার্সিং ও কেয়ার হোম নামে পরিচিত) কমপক্ষে ৫৪ হাজার বাসিন্দা ও কর্মী মারা গেছে করোনায়। এছাড়া ২৬ জুন পর্যন্ত ১২ হাজার নার্সিং ও কেয়ার হোমে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি।
নার্সিং ও কেয়ার হোমের বাসিন্দারা যে মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র শুরু থেকেই (সিডিসি) শুরু থেকেই তা বলে আসছিল। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় গোটা বিশ্বেই বয়জ্যেষ্ঠদের করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে।
করোনার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। এছাড়া পূর্বেই অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকলে সেই ঝুঁকি বহগুণ বেড়ে যায়। ইউরোপ ও আমেরিকার সব দেশেই নার্সিং ও কেয়ার হোমে মৃত্যুহার বেশি দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের ১১ শতাংশই দীর্ঘমেয়াদি কেয়ার হোমের বাসিন্দা। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশ ঘটেছে এসব কেয়ার হোমে। কমপক্ষে ২৪টি অঙ্গরাজ্যে করোনায় মৃত্যুর বেশিরভাগই বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা বা কর্মী। এছাড়া আক্রান্ত বিবেচনায় বৃদ্ধাশ্রমে মৃত্যুর হার ১৭ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় ৫ শতাংশ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কেয়ার হোমগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন কিন্তু তাদের নাম তালিকাভূক্ত হচ্ছে না বলেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে নানা সংবাদমাধ্যমে। উভয় দেশেই কেয়ার হোমের বাসিন্দা ও তাদের সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবের কথা বলা হচ্ছে।