ফের সংক্রমণ, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালো নিউজিল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২০

নতুন করে একটি গুচ্ছ সংক্রমণের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হওয়ার পরপরই ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দেশে জারি লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১২ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও সতর্কতার চারটি পর্যায় রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। ফের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর গত বুধবার থেকে তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি রয়েছে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ডে। এ ছাড়া বাকি দেশে জারি রয়েছে দ্বিতীয় ধাপের বিধিনিষেধ। প্রধানমন্ত্রী আর্ডার্ন বলেছেন, মেয়াদ বাড়বে দুটোরই।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে নিউজিল্যান্ডের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। টানা ১০২ দিন কোনো রোগী না থাকার পর গত ৯ আগস্ট স্থানীয় সংক্রমণ শনাক্ত হয় দেশটিতে। এরপরই সতর্ক অবস্থানে চলে যায় সরকার। ফের জারি করা হয় লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এখন আবার তার মেয়াদ বাড়ানো হলো।

দ্বিতীয় দফায় অকল্যান্ড থেকে যে গুচ্ছ সংক্রমণের সূত্রপাত হয়েছিল তার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলমান রয়েছে এখনও। গত জুনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা মুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে ফের শুরু হওয়া সংক্রমণ বাড়ছেই। তাই পুনর্বহাল হয়েছে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, সবার আগে এবং কঠোর অবস্থান নেওয়ার যে দর্শনে নিউজিল্যান্ড বিশ্বাস করে, তারই অংশ হিসেবে দেশকে সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখার জন্য করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার।

করোনা নিয়ন্ত্রণে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সফল বিবেচিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার ধারণা এই ১২ দিনে কীভাবে গুচ্ছ সংক্রমণ হলো তা চিহ্নিত করে আইসোলেশনের মাধ্যমে অকল্যান্ডে সতর্কতামূলক অবস্থান হিসেবে জারি তৃতীয় ধাপের সতর্কতার মাত্রা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।