ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে চীনের আরও একটি ভ্যাকসিন সফল
চীনের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের আরও একটি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপে নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনটি শরীরে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন।
দেশটির চাইনিজ একাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের তত্ত্বাবধানে ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল বায়োলজি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। গবেষকরা বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক ধাপে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রথম ধাপে ভ্যাকসিনটি দেশটির ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ১৯১ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়। গবেষকরা বলছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভ্যাকসিনটির তীব্র কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার চীনের বিজ্ঞানীদের এই ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এটি এখনো পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।
স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে ভ্যাকসিনটি দেয়ার পর সবচেয়ে সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে ভ্যাকসিনটি পুশ করার স্থানে মৃদু ব্যথা, হালকা অবসাদ, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি এবং সামান্য ফুলে যায়।ভ্যাকসিটি করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার সব তথ্য-উপাত্ত নিষ্ক্রিয় এই ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা ও প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন এবং ভবিষ্যতে এর কার্যকারিতার ব্যাপারে আরও গবেষণার জন্যও উৎসাহ জুগিয়েছে।
চীন নিজ দেশের জরুরি কর্মী এবং অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ না করে চীনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করায় এর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের অন্তত চারটি ভ্যাকসিন বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ভ্যাকসিন রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) এবং বেসরকারি কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং ক্যানসিনো বায়োলজিকসের একটি করে রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/এমকেএইচ