বিতর্কে মুখোমুখি মাইক পেন্স-কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০২০

আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে উতাহ অঙ্গরাজ্যের সল্ট লেক সিটিতে বিতর্ক অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং ডেমোক্র্যাট দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন কিভাবে সাড়া দিয়েছে এবং কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই নিজের বক্তব্য শুরু করেন মাইক পেন্স।

ইউএসএ ট্যুডের সাংবাদিক সুসান পেজ এই বিতর্ক অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেছেন। তিনি মাইক পেন্সকে প্রশ্ন করেন কেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি এমনকি তা প্রতিবেশী কানাডার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি?

এর উত্তরে মাইক পেন্স বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমদিন থেকেই আমেরিকানদের স্বাস্থ্যকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

তার মতে, দেশের জন্য ট্রাম্প যা করেছেন তা অন্য আর কোনো প্রেসিডেন্ট করেননি। তিনি চীনের সঙ্গে সব ধরনের ভ্রমণ বাতিল করেছেন। অথচ চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

মাইক পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে আরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

তবে মাইক পেন্সের সঙ্গে একমত নন কমলা হ্যারিস। তার মতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সুসান পেজ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের জায়গায় যদি জো বাইডেন থাকতেন তবে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা পরিস্থিতিতে তিনি কি করতেন?

এর উত্তরে কমলা হ্যারিস বলেন, যে কোনো মার্কিন প্রশাসনের ব্যর্থতার সাক্ষী আমেরিকার জনগণ। ট্রাম্প প্রশাসন জানত যে, করোনাভাইরাস কতটা বিপজ্জনক এবং এর হুমকি কতটা। কিন্তু তারা এটা ধামাচাপা দিয়েছে।

কমলা হ্যারিসের মতে, বাইডেন এক্ষেত্রে আলাদা। করোনা পরীক্ষা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার একটি জাতীয় কৌশল থাকত যার ফলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জলবায়ু, ট্যাক্স, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন মাইক পেন্স এবং কমলা হ্যারিস।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।