চীনে জেট ফুয়েলের চাহিদা প্রায় করোনাপূর্ব অবস্থায়
অডিও শুনুন
করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে চীন। দেশটিতে জেট ফুয়েলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রায় মহামারিপূর্ব অবস্থানে চলে এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে জ্বালানি চাহিদা এখনও বেশ কম।
বুধবার সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অভ্যন্তরীণ জেট ফুয়েল বিক্রি ছিল প্রায় ২০ লাখ টন, অর্থাৎ দৈনিক ৫ লাখ ২৩ হাজার ৩০০ ব্যারেল। এটি গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ এবং জানুয়ারি থেকে সামান্য কম।
চীনে জেট ফুয়েলের মোট চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশই ব্যবহৃত হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে। দেশটিতে জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চীনা পরিশোধনাগারগুলোতে অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাতকরণও বেড়ে গেছে।
অক্টোবরের শেষ থেকে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত চীনে জেট ফুয়েলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা আরও বাড়বে। কারণ দেশটি আগামী শীত-বসন্তে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে, ২৫ অক্টোবর থেকে আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে চীনা এয়ারলাইনগুলো ৮৪ হাজার ৬৩৪টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যা গত বছরের চেয়ে অন্তত ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, সাপ্তাহিক কার্গো ফ্লাইট ৪০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ১০১টি।
চীনা বিশ্লেষক লিউ ইউনতাও বলেন, চীনে অভ্যন্তরীণ যাত্রী ভ্রমণ গত বছরের তুলনায় মাত্র দুই শতাংশ কম রয়েছে। আর মালবাহী পরিমাণেও প্রতি মাসে উন্নতি হচ্ছে।
তবে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে চীনে চলতি বছর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ২০১৯ সালের তুলনায় অন্তত পাঁচ শতাংশ কম চলাচল করছে। এটি আগের অবস্থায় ফিরতে আরও কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে চীনা ন্যাশনাল এভিয়েশন ফুয়েল করপোরেশন।
কেএএ/এমকেএইচ