যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহের কম সময়ে ১০ লাখ আক্রান্ত
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে দেশটিতে সংক্রমণ ১০ লাখে পৌঁছেছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে ইতোমধ্যেই অনেক অঙ্গরাজ্য ও শহরে নতুন করে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিকে, সোমবার থেকে শিকাগোতে ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা জারি হচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ছিল ১ কোটি। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেশটিতে আরও প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ৪৬।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১০৮ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত নভেম্বর থেকেই হঠাৎ করে দেশটিতে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৯। এর মধ্যে মারা গেছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ জন।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৯ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩০ জন। বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৭। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৭০৩ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক দেশে এই ভাইরাস বিস্তার লাভ করেছে। তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। করোনা দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি বলে ধারণা করা হয়। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার স্ত্রী ও ছেলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও এ বিষয়ে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
চলতি বছরের নির্বাচনে ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার পেছনে করোনাকেই দায়ী মনে করা হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপের অভাব এবং তার খামখেয়ালির কারণেই নির্বাচনে তিনি জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
টিটিএন/জেআইএম