ভ্যাকসিন বিতরণে কানাডায় ১৪টি কেন্দ্র স্থাপন

আহসান রাজীব বুলবুল
আহসান রাজীব বুলবুল আহসান রাজীব বুলবুল , কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২০

কানাডার নাগরিকদের কাছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বিভিন্ন প্রদেশে ১৪টি বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য যে ধরনের তাপমাত্রা প্রয়োজন সেই সুবিধা থাকবে এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে। পরে সেখানে ভ্যাকসিন রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে। খবর স্থানীয় গণমাধ্যমের

জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে অন্টারিও, কুইবেক, ম্যানিটোবা এবং আলবার্টা প্রদেশে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। এই প্রদেশগুলোতে এখনো ভাইরাস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এছাড়া অন্যান্য টেরিটরিগুলোতে ভ্যাকসিন রাখার পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় প্রথম পর্যায়ে টেরিটরিগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে না।

তবে এই ১৪টি বিতরণ কেন্দ্রের অবস্থান সরকার ঘোষণা করেনি। জানা যায়, হাসপাতাল ও গবেষণাগারকে প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য নির্ধারণ করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ফাইজারের ভ্যাকসিন রাখার জন্য মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রী তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিটি প্রদেশেই তার লোক সংখ্যার অনুপাতে ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহ করা হবে। অন্টারিওর ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন টাস্কফোর্সের প্রধান রিক হিলার জানিয়েছেন, অন্টারিও চলতি মাসে ৮৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবে কানাডা।

কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম বলেন, কানাডায় টিকা অনুমোদনের জন্য ‘হেলথ্ কানাডা’ কঠোর নিয়ন্ত্রক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে টিকার সর্বোচ্চ মান, সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্য কানাডার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৫ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৭ জনের এবং করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ জন।

কানাডায় একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনাভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এরই মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভ্যাকসিন পাওয়ার সাম্প্রতিক ঘোষণায় প্রতীক্ষিত কানাডিয়ানদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং খুব দ্রুত অপেক্ষার পালা শেষ হবে বলে অনেকে মনে করছেন।

এআরএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।