করোনায় চিরতরে বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট
অডিও শুনুন
করোনাভাইরাস মহামারিতে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে প্রায় সব শিল্পের। সবচেয়ে বেশি আঘাত লেগেছে হয়তো পর্যটন, বিমান ও ক্যাটারিং শিল্পে। ক্যাটারিং ব্যবসায় মহামারির ধাক্কা কতটা প্রবল তার কিছুটা নমুনা দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান থেকে। চলতি বছর দেশটিতে এক লাখেরও বেশি রেস্টুরেন্ট চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক তথ্যমতে, করোনা মহামারিতে বড় ধস নেমেছে দেশটির ক্যাটারিং শিল্পে। এবছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ১০ হাজারের মতো রেস্টুরেন্ট ইতোমধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে আরও কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান।
মহাসংকটে খুচরা ব্যবসায়ীরাও। গবেষণা সংস্থা কোরসাইট রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৮ হাজার ৪০০টি খুচরা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে শুধু অ্যাসেনা রিটেইল গ্রুপেরই রয়েছে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি দোকান।
কোরসাইটের ধারণা, আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খুচরা পণ্যের দোকান বন্ধ হতে পারে। ২০১৯ সালে দেশটিতে ৯ হাজার ৩০২টি দোকান বন্ধের রেকর্ড এবছরই ভাঙতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গত শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল রেস্টুরেন্ট ও দোকানগুলোর জন্য খুবই নির্মম বছর, এটা লুকানোর উপায় নেই। মহামারি, ব্যাপক ধারদেনা এবং শপিংয়ের পাশাপাশি খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে দেউলিয়া ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার মারাত্মক মিশ্রণ তৈরি হয়েছে দেশটিতে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, লকডাউনে খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্টে বিপর্যয় নেমেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই সংকটে ছিল, চলতি বছর তাদের অনেকেই দেউলিয়া হয়ে গেছে।
এদিকে, করোনা মহামারির আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হারও বাড়ছে হু হু করে। মার্কিন শ্রম বিভাগের তথ্যমতে, গত সপ্তাহে দেশটিতে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৩ হাজারে, যা গত মধ্য-সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ।
এ সংকট মোকাবিলায় গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আরও ৯১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও দ্বিধাবিভক্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবালিকানরা। ফলে দ্রুততম সময়ে প্যাকেজটি পাস হওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সূত্র: শিনহুয়া
কেএএ/এমকেএইচ