সব দেশের ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য দ্বার খুলছে সিঙ্গাপুর
ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য পৃথক ট্রাভেল লেন বা ভ্রমণপথ চালু করছে সিঙ্গাপুর। মঙ্গলবার দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চান চুন সিং ফেসবুকের এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘কানেক্ট সিঙ্গাপুর’ কর্মসূচির আওয়ায় বিশেষ এই ট্রাভেল লেন চালু হতে যাচ্ছে। এর আওতায় সব দেশ থেকেই সীমিত সংখ্যক ব্যবসায়িক কর্মকর্তা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন ভ্রমণকারীদের সর্বোচ্চ ১৪ দিন সিঙ্গাপুরে থাকার অনুমতি দেয়া হবে।
২০২১ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি এ কর্মসূচি শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যমন্ত্রী। এর জন্য কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও পরীক্ষার প্রোটোকল অনুসরণ করা হবে।
তিনি জানান, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের কানেক্ট সিঙ্গাপুর কর্মসূচির আওতায় বিশেষায়িত ভবনে থাকতে হবে। নিয়মিত চেকআপ এবং সবধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
বিশ্বব্যাপী সিঙ্গাপুরের সুনাম বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মহামারির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চান চুন সিং।
কানেক্ট সিঙ্গাপুর কর্মসূচির আওতায় ভ্রমণকারীদের দেশছাড়ার আগেও বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। সিঙ্গাপুর ভ্রমণের আগে অন্তত ১৪ দিনের মধ্যে তিনি অন্য কোনও দেশ থেকে ফিরলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এছাড়া, বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাতে হবে তাকে।
তবে, সিঙ্গাপুর প্রবেশের পর ভ্রমণকারীদের জন্য কোনও কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা বা চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ থাকছে না।
অবশ্য, কোনওভাবে যদি নগররাষ্ট্রটিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে এ কর্মসূচি বাতিল করা হতে পারে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিছদিন আগেই হংকং-সিঙ্গাপুরের মধ্যে ‘ট্রাভেল বাবল’ চালু স্থগিত করা হয়েছে। এটি চালু হলে এশিয়ার দুই প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনমুক্ত চলাচলের সুবিধা পাওয়া যেত। গত ২২ নভেম্বর উদ্বোধনের মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে স্থগিত করা হয় এ পরিকল্পনা।
শুরু থেকেই মহামারি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখানো সিঙ্গাপুরে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৩২৫ জন, মারা গেছেন মাত্র ২৯ জন। হংকংয়ে ৭ হাজার ৬২৪ আক্রান্ত হলেও মারা গেছেন অন্তত ১২০ জন।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/এমকেএইচ