ফ্রান্সে লন্ডনফেরত একজনের দেহে ‘নতুন করোনা’, সীমান্ত বন্ধের শঙ্কা
ফ্রান্সে লন্ডনফেরত একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (রূপান্তরিত রূপ) শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে প্রথমবার শনাক্ত হওয়া ওই ধরনটির জেরেই সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ। পরে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর আংশিক চালু হয়েছে দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মধ্যে প্যারিসে করোনার ব্রিটিশ ধরনটি শনাক্ত হওয়ায় আবারও সীমান্ত পারাপার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে ফেরা এক ফরাসি নাগরিক করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। তার শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। তবু বাড়তি সতর্কতাস্বরূপ ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
নতুন করোনার ধরনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কোথায় কার কার সংস্পর্শে গিয়েছেন তা শনাক্তের চেষ্টা করছে ফরাসি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ হলে তাকেও একইভাবে আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স ছাড়াও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন পাওয়া গেছে ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ডেনমার্কে নতুন ধরনে আক্রান্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন অন্তত নয়জন। এছাড়া, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ায় একজন করে রোগী পাওয়া গেছে।
করোনার নতুন ধরন শনাক্তের জেরে চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ সীমান্ত ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রেখেছিল ফ্রান্স। পরে আংশিকভাবে শুরু হয়েছে যোগাযোগ।
বর্তমানে শুধু বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত ফরাসি বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক এবং ব্যবসয়িক ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে পারছেন। তবে এর জন্য তাদের অবশ্যই গত তিনদিনের মধ্যে করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ থাকতে হবে।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সীমান্তের এই বিধিনিষেধ অন্তত আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ফ্রান্স সীমান্ত খুললেও করোনা টেস্টের বিধির কারণে যুক্তরাজ্যের বন্দরগুলোতে ভারী যানবাহনের বিশাল জট সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ লরিচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই জট কাটতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: আল জাজিরা
কেএএ/এমএস