টিকা : ভারতে একদিনে নিবন্ধন করেছেন ২৯ লাখ মানুষ
ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মূলত স্বাস্থ্যকর্মী এবং দেশটির প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা টিকা পেয়েছেন।
সোমবার (১ মার্চ) দেশটিতে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই দফার মূলত দেশের প্রবীণ নাগরিক এবং কোমর্বিডিটি থাকা মধ্যবয়সীদের টিকা দেয়া হবে।
আর দ্বিতীয় দফায় টিকা নেয়ার রেজিস্ট্রেশন শুরুর প্রথম দিনেই ২৯ লাখ মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথা বলার আগে আমি তথ্যটা দেখছিলাম। সোমবার রাত সাড়ে আটটা অবদি ২৯ লাখেরও বেশি মানুষ আবেদন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন একজন নাম নথিভুক্ত করলে সঙ্গে পরিবারের চারজনকে যুক্ত করতে পারছেন। তাই একজন গড়ে দুজনের নাম নথিভুক্ত করেছেন ধরলে প্রায় ৬০ লাখ ইতোমধ্যেই টিকা নিতে নাম লিখিয়েছেন।’
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের নাগরিকদের দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ করেছে সরকার। তাই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকাকরণ কর্মসূচিতে কেনোরকম ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে ভারত। দিনে দিনে এই কর্মসূচি আরও ব্যাপক হচ্ছে।’
টিকা তৈরিতে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে হর্ষবর্ধন বলেন, ‘কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্রাথমিকভাবে যে প্রশ্ন উঠেছিল তা দূর হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই টিকা নিয়েছেন। তাই জনগণের উচিত দ্বিধাহীনভাবে এই টিকা নেয়া।’
সোমবার এক টুইটে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, তিনি আজ (৩ মার্চ) টিকা নিতে পারেন। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং কোমর্বিডিটি থাকা ৪৫ বছরের বেশি ব্যক্তিদের শিগগির টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, ‘টিকা নিয়ে কোনোরকম সন্দেহ নেই। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। টিকা নেয়ার জন্য মৃত্যুর কোনো ঘটনা এখনো সামনে আসেনি। টিকা নেয়ার কিছু দিনের মধ্যে (ভারতে) যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানা গেছে।’
এমআরআর/জেআইএম