যুক্তরাষ্ট্রে দু’সপ্তাহ পর ভ্যাকসিন নিতে পারবেন প্রাপ্তবয়স্করা
অডিও শুনুন
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এদিকে দেশটির অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিত ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫ জুনের মধ্যে সব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন কর্মসূচি এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের সব নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি যে কেউ ভ্যাকসিন দিতে পারবেন। প্রাপ্ত বয়স্কদের আগামী ১ মে থেকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা থাকলেও তা এগিয়ে আনা হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাইডেন বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণকে আরও সহজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরাই প্রথম দেশ যারা ১৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিচ্ছি। ইতোমধ্যেই ৬ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
বাইডেন ১৯ তারিখের সময়সীমা ঘোষণা করার মানে এখন আর ভ্যাকনির নেয়ার ক্ষেত্রে বয়স, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি অথবা অন্য কোনো কিছু বাধা হবে না। অর্থাৎ ১৯ তারিখের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এখনই সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে এমন নয়। বরং এই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।
ভার্জিনিয়ায় একটি ভ্যাকসিন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বাইডেন বলেন, মহামারির সবচেয়ে খারাপ সময় এখনও শেষ হয়নি। ভ্যাকসিন আমাদের এটা থেকে রক্ষা করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
যদি ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যায় তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় আগামী ১৫ জুনের মধ্যেই পুরোপুরি সবকিছু চালু হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে কড়াকড়ি এবং গণসমাবেশে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা তুলে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গেভিন নিউসম। ক্যালিফোর্নিয়ায় ২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৪৩৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ৭০ হাজার ২৬০ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন।
টিটিএন/এএসএম